নির্বাচন কমিশনের নতুন নেওয়া প্রকল্পের প্রস্তাবে (ডিপিপি) কয়েকটি ‘অসঙ্গতি’ তুলে ধরে তা সমাধান করে ইসি সচিবালয়কে ‘শক্তিশালী’ করতে লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Published : 28 Sep 2017, 12:47 AM
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে দাবিগুলো লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন বলে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন গঠিত ‘প্রকল্পের বৈষম্য দূরীকরণ কমিটি’র সভাপতি ইসির উপ সচিব নূরুজ্জামান তালুকদার জানান।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে কোনো কর্মচারীকে ষষ্ঠ গ্রেড থেকে ১২তম গ্রেডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিদ্যমান আইডিইএ প্রকল্পের জনবলকে তাদের বর্তমান পদের নিয়োগশর্ত অনুযায়ী সমমানের পদে নতুন প্রকল্পে স্থানান্তর, প্রস্তাবিত প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো অবস্থায় শিথিল না করা, সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসারের কর্মপরিধি খর্ব করে এমন কোনো পদে নিয়োগ না দেয়াসহ ১৩ দফা সুপারিশ করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রস্তাবনার লিখিত অনুলিপি চার নির্বাচন কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত সচিবের কাছেও দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে। ‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক নতুন একটি প্রকল্পে আইডিইএ’র টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টারদের সরাসরি পদায়ন ও উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে প্রকল্পের লোকবল রাজস্ব খাতে নেওয়ার প্রকল্প প্রস্তাবনা সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূলায়ন কমিটিতে (পিইসি) পাঠানো হয়।
এর প্রতিবাদে সোমবার শেরে বাংলানগরে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কর্মবিরতি পালন করে। এতে কমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেয়।
কাবুল সফর শেষে সিইসি বুধবার দেশে ফিরলে তার কাছে আন্দোলনরতদের দাবি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নিয়ে গঠিত সমন্বয় পরিষদ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের অনুপস্থিতিতে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন, কর্মবিরতি পালন এবং প্রকল্পের লোকজনের ‘র্যাব-পুলিশ ডেকে আনা ও সার্ভার বন্ধ’ রাখার মতো কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ দেখিয়েছেন সিইসি নূরুল হুদা।