বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির শর্ত আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Published : 20 Jul 2017, 10:50 PM
এখন থেকে বিদেশি ক্রেতা বা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতে চাল আমদানি করা যাবে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে তা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো আমদানিকারক বিদেশি ক্রেতা বা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতে চাল আমদানি করতে পারবে।
সার্কুলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার, মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) এবং শিল্পের কাঁচামাল বাকিতে আমদানির সুযোগ রয়েছে। ওই আমদানির বিপরীতে ওই দেশের বিক্রেতার কাছ থেকে বাকিতে বা ওই দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ (বায়ার্স ক্রেডিট) নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৯০ দিন মেয়াদি ওই ঋণের সুদের সুদ হার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ হয়।
“কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানি করতে গেলে আমদানিকারককে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হয়। বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।”
এর আগে গত ১৯ জুন বাকিতে চাল আমদানি করার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়েছিল, ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও চাল আমদানির ঋণপত্র খোলা যাবে।
ওই নিদের্শনা অনুযায়ী, চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠার পর সম্প্রতি আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশেও নামিয়ে আনে সরকার।