ঢাকার রাস্তায় গত এক বছরে এক লাখ দশ হাজারের বেশি গাড়ি নেমেছে বলে সংসদে তথ্য দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Published : 14 Jun 2017, 01:19 PM
বুধবার সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি পিনু খানের এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের জানান, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা মহানগরীতে এক লাখ ১০ হাজার ১৮টি গাড়ির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
৩১ মে পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ১১ লাখ ২৫ হাজার বলে জানান মন্ত্রী।
সংরক্ষিত আসনের আরেক সদস্য দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ সালে পরিবার প্রতি গাড়ির সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণের বিধান থাকছে।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের ‘বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায়’ সড়ক দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে যেখানে ৪ হাজার ৪২৭টি দুর্ঘটনা হয়েছিল, সেখানে ২০১৬ সালে হয়েছে ২ হাজার ৫৬৬টি।
পিনু খানের আরেক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের জানান, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) ৯২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৮৮ জন নিহত ও ৭১৬ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
“সড়ক দুর্ঘটনারোধে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”
অবৈধ দখলভুক্ত রেলের ৩৭৫২ একর জমি
সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সংসদকে জানান, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের তিন হাজার ৭৫২ দশমিক ৭৮ একর জমি অবৈধ দখলভুক্ত হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলওয়ের অন্যান্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে রেলের জমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ ১০ হাজার ৮৪৩ দশমিক ১৫ একর।
রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে পিপিপির আওতায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল-কাম-বাণিজ্যিক ভবন, বহুতল শপিং মল-কাম-গেস্ট হাউস নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বছরে কাপড়ের চাহিদা ২৪০০ মিলিয়ন মিটার
সাংসদ সানজিদা খানমের প্রশ্নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, দেশে প্রতিবছর কাপড়ের চাহিদা ২ হাজার ৪০০ মিলিয়ন মিটার।
এর মধ্যে ১৭০০-২০০০ মিলিয়ন মিটারের (৭০-৮৩ শতাংশ) চাহিদা দেশে উৎপাদিত কাপড় থেকে মেটানো হয়। বাকিটা চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয়।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের মে পর্যন্ত বস্ত্র খাত থেকে প্রায় ২৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি মুদ্রা এসেছে।