নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরকারবিরোধী কিছু ঘটাতেই ‘কোনো গ্রুপ’ সংগ্রহ করেছিল বলে পুলিশের ধারণা। এর সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠন জড়িত নয় বলেই মনে করে তারা।
Published : 03 Jun 2017, 06:27 PM
অস্ত্র অভিযান নিয়ে শনিবার পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের ধারণা সরকারের বিপক্ষে বড় ধরনের কোনো কাজ করার জন্য কোনো গ্রুপ এসব এনেছে। জঙ্গিরা আনেনি। আমরা জানি জঙ্গিদের সংখ্যা অনেক নগণ্য, তারা এই ধরনের অস্ত্রের অ্যাক্সেস এখনো পায়নি।”
এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল আবাসিক এলাকার একটি খাল থেকে শুক্রবার সকালে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর মধ্যে রয়েছে ৬১টি চায়নিজ এসএমজি, দুটি রকেট লঞ্চার, দুটি ওয়াকিটকি, পাঁচটি পিস্তল ও পাঁচটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৪৯টি রকেট শেল, ৪২টি গ্রেনেড, ৪৪টি এসএমজির ম্যাগজিন এবং বিপুল পরিমাণ ফিউজ ও গুলি।
গতবছর রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ী খাল থেকে ৯৭টি পিস্তল ও এক হাজারের বেশি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে কয়েকশ ম্যাগাজিন, শতাধিক গুলি তৈরির ছাচ ও বেয়নেটও পাওয়া যায়।
এক প্রশ্নে দিয়াবাড়ীতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত এখনো চলছে বলে জানান মনিরুল।
“অস্ত্রগুলোর কান্ট্রি অফ অরিজিনটা গায়ে লেখা ছিল না। পাশাপাশি হাতেনাতেও কেউ ধরা পড়েনি। সেটার অনুসন্ধান করে কান্ট্রি অফ অরিজিন এবং কারা কি উদ্দেশ্যে এনেছিল সেটা বের করার চেষ্টা করছি।”