মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি কারাবন্দি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।
Published : 18 Apr 2017, 03:42 PM
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন।
আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম; সঙ্গে ছিলেন মাসুদ হাসান। রানার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমপি রানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সেটির শুনানি শেষে আদালত ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
“একই সঙ্গে আগামী ৮ মে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আপিলের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।”
গত ১৩ এপ্রিল এমপি রানাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন বিচারপতি এম এন চৌধুরী এবং এ এন এম বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত রোববার রানার জামিনে তিন দিনের স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় টাঙ্গাইল- ৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি রানাকে প্রধান আসামি করে এবং তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে সাংসদ রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক। জেলা ও দায়রা জজ তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে এই সাংসদ হাই কোর্টে আবেদন করেন।
সবশেষ গত ৩০ মার্চ রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল উপস্থাপন হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় বিচারপতি এ এক এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ।
এরপর রানা গত ২ এপ্রিল নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটিও খারিজ হলে গত ৪ এপ্রিল হাই কোর্টে আবেদন করেন তিনি।
এর আগে আরও তিন বার জামিন নিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রানা। দুইবার তার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, আরেকবার জামিন আবেদন উপস্থাপন হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।