ভারত থেকে তৃপ্তি নিয়ে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তার এবারের সফর ‘সম্পূর্ণ সফল’ হয়েছে।
Published : 11 Apr 2017, 04:33 PM
ভারত থেকে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
দেশ বিক্রির কথা বলে অর্বাচীন: হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর এবারের দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে বিএনপির সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সফরে আমি সম্পূর্ণ তৃপ্ত, ফলপ্রসূ হয়েছে। সম্মানের দিক থেকে আমরা সমান-সমান, এটা তৃপ্তির। এখানে হতাশার কিছু নেই। এই সফর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।”
নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দ্বিপক্ষীয় প্রথম সফরে শুক্রবার ভারতে যান শেখ হাসিনা, সোমবার ফেরেন তিনি। তার সফরে চুক্তি-সমঝোতা স্মারকসহ ৩৬টি দলিল সই হয়েছে।
তিস্তা চুক্তির জট না খোলা, সীমান্তে হত্যা বন্ধ নিয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ায় এই সফরে বাংলাদেশের আশা পূরণ হয়নি বলে বিএনপির মন্তব্য। পাশপাশি প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারককে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নের সঙ্গে তুলনা করেছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে বিএনপি আমলে প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের বিষয়টি তুলে ধরে আবারও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে তিনি দেশের স্বার্থহানি ঘটিয়ে কিছু কখনও করবেন না।
এই সফরে নয়া দিল্লির কাছে শেখ হাসিনার গুরুত্ব স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রটোকল ভেঙে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিলেন হাসিনা, যাও ভারতে সফরে যাওয়া কোনো সরকার প্রধানের জন্য বিরল ঘটনা।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি তো কিছু চাইতে যাইনি, বন্ধুত্ব চাইতে গিয়েছিলাম, বন্ধুত্ব পেয়েছি।”
এই সফরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মাননা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতির জনকের নামে ভারতের রাজধানীতে একটি সড়ক উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
এই সফরে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
“সামগ্রিকভাবে এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতা-বিশ্বস্ততা-বন্ধুত্বের বহুমুখী সম্পর্ক এই সফরের মাধ্যমে আরও সুসংহত হয়েছে।”
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘বিশেষ তাৎপর্য’ বহন করে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং বিবাদের মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জন সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করি।”
ভারত থেকে সম্মান আদায় করে ফিরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “হতাশ হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।”