নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত শুনেছেন রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা।
Published : 30 Jan 2017, 03:36 PM
সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা তাদের এই বৈঠক চলে। আমন্ত্রণ পাওয়া ১২ বিশিষ্টজনের সবাই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ জানান।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির সদস্যরা বিকাল পৌনে ৪টার দিকে জাজেস লাউঞ্জে পৌঁছান। আর বৈঠকের আমন্ত্রণ পাওয়া ১২ বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুর রশিদ সবার আগে বৈঠকস্থলে আসেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএমএ ফায়েজ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আইনজীবী সুলতানা কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষক তোফায়েল আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা উপস্থিত হন।
শনিবার এই জাজেস লাউঞ্জেই সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। সেখানেই বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় ও তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
সেইসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নামের প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন ও বিধি) কাছে এই নাম জমা দিতে বলা হয়েছে দলগুলোকে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বুধবার এই সার্চ কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য নাম প্রস্তাবের দায়িত্ব দেন। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।
এই কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, নির্ধারিত ১০ কার্যদিবস, অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সার্চ কমিটির সব কার্যক্রম শেষ করে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন কমিশন পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন।