দেশে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও অনলাইন বিদ্যাপীঠ ‘টেন মিনিট স্কুল’।
Published : 15 Jan 2017, 04:42 PM
রোববার রাজধানীর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট পার্কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বনমালী ভৌমিক, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদ এবং ‘টেন মিনিট স্কুলের’ প্রতিষ্ঠাতা সিইও আয়মান সাদিক চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানসম্মত ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আমাদের বিশ্বাস, সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করার ফলে দেশে মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে আমাদের সামর্থ আরও বৃদ্ধি পাবে।”
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪ কোটি ২৬ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। গ্রাম ও শহরের শিক্ষার গুণগত মানের বৈষম্য দূর করার একমাত্র সমাধান হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। ইন্টারনেট শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করতে পারলে শিক্ষার মান বাড়ার সাথে সাথে শহর ও গ্রামের বৈষম্যটা কমবে বলে আশা করি।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ চুক্তির আওতায় মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করতে শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজার একটি ডিজিটাল ল্যাব এবং ৩০ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ‘টেন মিনিট স্কুলের’ ডিজিটাল এডুকেশন কনটেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা হবে।
এছাড়া তিন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আইসিটি বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দেশজুড়ে হাই-টেক পার্কগুলোতে ন্যানো ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
‘টেন মিনিট স্কুল’ দেশের একমাত্র সাইট যেখানে শিক্ষার্থীরা টিউটোরিয়ালের (১৪১১টি ভিডিও রয়েছে) মাধ্যমে শিখতে পারছেন।
কুইজ ও মডেল টেস্টের (২৮ হাজার ৪৫৫টি কুইজ) মাধ্যমে অনুশীলন, নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন, সহপাঠী ও অন্যদের সঙ্গে নিজের অবস্থান যাচাইসহ ইন্টারনেটে নেই এমন খুঁটনাটি তথ্যগুলোও সহজে পেয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকের লাইভ ফিচার ব্যবহার করে প্রতিদিন লাইভ ক্লাসও প্রচার করছে স্কুলটি।
রবির সিসিপিও মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, “দেশজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সহজেই তরুণদের জন্য মানসম্মত ডিজিটাল এডুকেশন কনটেন্ট পৌঁছে দিতে পারি। এজন্যই করপোরেট দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘টেন মিনিট স্কুল’র প্রতি আমরা সহাযোগিতার হাত বাড়িয়েছি।
“আইসিটি বিভাগের সাথে অংশীদারিত্ব দেশের ডিজিটাল শিক্ষার প্রসারে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, “তরুণরা দিন দিন ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ্য হয়ে উঠছে। আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের হাতে সঠিক কনটেন্ট পৌঁছে দেওয়া, যেন তারা ইন্টারনেটের যথাযথ ব্যবহার করতে পারে।”