শর্ত মানার অঙ্গীকারনামা দিলে একুশে বইমেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
Published : 30 Dec 2016, 05:47 PM
ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সমালোচনা এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবি ওঠার পর শুক্রবার একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত আসে।
একাডেমির পরিচালক মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রন্থমেলার নীতিমালা পরিপন্থি কোনো কার্যক্রম করবে না এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন বই প্রকাশ করবে না - এ শর্তে অঙ্গীকারনামা পাঠালে বাংলা একাডেমি শ্রাবণ প্রকাশনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।”
গত ২২ নভেম্বর বইমেলা সংক্রান্ত এক সভায় বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদ গ্রন্থমেলার ‘স্বার্থবিরোধী’ কার্যকলাপের অভিযোগ এনে শ্রাবণ প্রকাশনীকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।
গত বইমেলায় ব-দ্বীপ প্রকাশনীর ‘ইসলাম বিতর্ক’ নামের একটি বই নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ ও বইটি প্রকাশের দায়ে গ্রেপ্তার প্রকাশক শামসুজ্জামান মানিকের মুক্তির আন্দোলনে যুক্ত হওয়ায় একাডেমি এই ব্যবস্থা নেয় অভিযোগ করেন শ্রাবণের স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান।
পরে প্রতিবাদে সরব হওয়ার ঘটনাসহ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা বলে একাডেমির এক পরিচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানানোর পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ঝড় ওঠে।
‘দীর্ঘদিন পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন’ এমন অভিযোগে এনে একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
এরপর একাডেমির ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অংশগ্রহণ ও মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে নির্বাহী পরিষদের সভায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার এই শর্ত ঠিক হয়।
একাডেমির দেওয়া দুই শর্তের বিষয়ে শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবীন আহসান বলছেন, বইমেলার গঠনতন্ত্রে এমন নীতিমালা থাকায় তার স্বাক্ষর করতে ‘আপত্তি নেই’।
ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন কোনো বই শ্রাবণ থেকে প্রকাশিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “আর কখনও হবে না। তবে একজন স্বতন্ত্র লেখক হিসেবে আদর্শিক কারণে বাংলা একাডেমির বাইরে যদি কোনো প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হয়, আমি অবশ্যই অংশগ্রহণ করব।”