নতুন বছরের প্রথম দিন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতেও ব্রেইল বই তুলে দেবে সরকার। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা নিজেদের পাঁচটি ভাষায় লেখা প্রাক-প্রাথমিকের বই পাবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে।
Published : 04 Dec 2016, 02:43 PM
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার ঢাকার মাতুয়াইলে বিনামূল্যে বিতরণের বই ছাপানো হচ্ছে এমন দুটি ছাপখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা এবার ব্রেইল বই দেব, আমরা ওই বই ছাপিয়েছি। তবে সকল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই বই পাবেন সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। কারণ (দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের) তথ্যটা পেতেই আমাদের বিরাট সমস্যা, আমরা জরিপ করছি।”
এবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বই ছাপানো হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর সকল ভাষায় লিপি নেই, সাহিত্য নেই, লেখা নেই। যেটা আছে আমরা চাই সেটাতেই তারা শিখুক। মায়ের কোল থেকে নেমেই সে প্রথমে স্কুলে যায়, বাংলা ভাষায় কথা সে বুঝতে পারে না।
“ঠিক সময়ে তাদের হাতে এসব বই পৌঁছে দেব। আমরা প্রাথমিক স্তরে সেই ধরনের শিক্ষকও তৈরি করতে চাই।”
চাকমা, মারমা, সাদ্রী, ত্রিপুরা ও গারো- এই পাঁচ ভাষায় প্রাক প্রাথমিকের বই পাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা।
এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল বই দেওয়া হত।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ জানান, প্রতিবছরের মতো আগামী ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব করে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭২টি বই বিতরণ করেছিল সরকার। সেই হিসেবে এবার ২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৩৭টি বই ও শিক্ষা উপকরণ বেশি বিতরণ করা হবে।
বিনামূল্যে বিতরণের ৮০ শতাংশ বই এরইমধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব বই পৌঁছে যাবে।”