‘ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ বক্তব্যর ব্যাখা দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টিএম মোজাহিদুল ইসলামকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
Published : 27 Nov 2016, 05:17 PM
আগামী ৪ ডিসেম্বর সকালে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে আসতে হবে। সেদিন তিনি নিজে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারবেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শককেও ওই দিন এই ঘটনার বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
এমন বক্তব্য দেওয়ায় এসপি মোজাহিদের বিরুদ্ধে কেন বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় পুলিশ মহাপরিদর্শক- রাজশাহী, রাজশাহীর জেলা পুলিশ সুপারকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করে।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান। আদালতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
রুল জারির আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বিচারক বলে, “সুয়োমোটো রুল দিব এখন। মগের মুলুকের অবস্থা, দেখছেন কী বলেছে?”
এসপি মোজাহিদের বিরুদ্ধে সংবিধান বহির্ভূতভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াসহ উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া এবং নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া ও বিচারবহির্ভূতভাবে অপরাধীকে মৃত্যু প্রদানে উস্কানি দেওয়ায় কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসপি মোজাহিদকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, “ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলুন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। গ্যারান্টি আমার। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে?”
গত শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে চক্ষুশিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।