ঢাকা থেকে ‘অপহৃত’ লক্ষ্মীপুরের এক চিকিৎসককে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে তা প্রশাসনকে জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।
Published : 20 Nov 2016, 05:27 PM
ডা. মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদের বাবার করা একটি রিট আবেদনে রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডা. ইকবাল মাহমুদকে উদ্ধারে নিষ্ক্রিয়তা কেন কর্তব্যে অবহেলা হিসেবে গণ্য করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল দিয়েছে আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, র্যাব মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে হাই কোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে বলে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
ইকবাল মাহমুদ ২৮তম বিসিএস পাস করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বদলি হলেও তার স্ত্রী-সন্তানরা লক্ষ্মীপুরেই থাকছেন। তার স্ত্রীও একজন চিকিৎসক।
ইকবালের বাবা এ কে এম নুরুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএসএমএমইউতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিতে গত ১০ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন তার ছেলে। লক্ষ্মীপুরে ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরার পর গত ১৫ অক্টোবর সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ের কাছে ধানমন্ডি ১ নম্বর সড়কের মাথা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।
“খবরটি শুনে আমি ঢাকায় এসে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করি। এরপর র্যাবসহ প্রশাসনের কাছে আমার ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ করি। আজ পর্যন্ত ছেলের কোনো সন্ধান পাইনি।”
ঘটনাস্থলের কাছে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরে নেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে বলে জানান নুরুল আমিন।
ওই ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা রুটের রয়েল কোচের বাস থেকে নামার পরপরই সাত-আটজন ডা. ইকবালকে ঘিরে ধরে এবং একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়।
মাইক্রোবাসের পেছনে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানও যেতে দেখা যায় বলে জানান ডা. ইকবালের বাবা।
যাদের দেখা গেছে তাদের কাউকে চিনতে পেরেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না, আমি কাউকে চিনতে পারিনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন তাদের শনাক্ত করছে পারছে না, তা বুঝতে পারছি না।”