ঢাকা মহানগরীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রথম পর্যায়ে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে গড়ে ৫৪ শতাংশ নাগরিক উন্নতমানের এ জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
Published : 29 Oct 2016, 01:13 PM
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬৯ হাজারেরও বেশি নাগরিক কার্ড নিয়েছেন। তথ্য অসঙ্গতি, প্রিন্ট না হওয়া ও নানা জটিলতায় ৮ হাজারেরও বেশি নাগরিককে কার্ড দেওয়া যায় নি; যাদের পরবর্তীতে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বাকি অর্ধ লক্ষাধিক নাগরিক বিতরণ কেন্দ্রেই আসেননি। অন্যত্র অবস্থান, ঠিকানা স্থানান্তর ও প্রচারের অভাবে তারা যথাসময়ে কেন্দ্রে এসে কার্ড নিতে পারেননি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এক্ষেত্রে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট উপজেলা অফিস থেকে তাদের স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট কার্ড কার্যক্রম উদ্বোধনের পরদিন থেকে ঢাকা উত্তরের একটি ও দক্ষিণের তিনটি ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরার ১ নম্বর এবং রমনার ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের এক লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি ভোটারের মধ্যে স্মার্ড কার্ড বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আরও সাতটি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে স্মার্ট কার্ড বিতরণের দ্বিতীয় পর্যায়ের।
বাদ পড়াদের উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহের অনুরোধ জানান তিনি।
উত্তরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, তারা একটি ওয়ার্ডের ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটারের মধ্যে ৩৩ হাজারেরও বেশি নাগরিককে কার্ড দিতে পেরেছেন।
“নানা জটিলতায় আরও চার হাজারের মতো নাগরিককে দিতে পারিনি; কার্ড প্রস্তুত করে তাদের জানানো হবে।”
তারা বলেণ, ভাসমান ভোটার ও ঠিকানা স্থানান্তর হওয়ায় কেন্দ্রে নাগরিকদের উপস্থিতি কম ছিল। এর সঙ্গে শুরুতে কিছু কারিগরি ত্রুটি, প্রচারের অভাব, সমন্বয়হীনতাও ছিল।
প্রথম পর্যায়ের অভিজ্ঞতায় পরবর্তী ধাপের কাজ আরও সুচারুভাবে করা সম্ভব হবে বলে তারা মনে করেন।