আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখা পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
Published : 11 Jun 2016, 01:34 AM
একিউআইএসের বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলামের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয় বলে শুক্রবার সাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
বাংলাদেশে মুক্তমনা লেখক, অধ্যাপক ও অধিকার কর্মীসহ সাম্প্রতিক অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডে আল-কায়েদার দায় স্বীকারের বার্তা দিলেও এবারই প্রথম তাদের নিন্দা জানানোর খবর দিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স।
জঙ্গি দমনে দেশজুড়ে পুলিশের ‘সাঁড়াশি অভিযান’র প্রথম দিন না পেরোতেই এ খবর দিলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইটটি।
সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হয়ে ঢাকায় আসা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
চট্টগ্রামে প্রায় দুই বছর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত থাকাকালে জঙ্গি দমনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন বাবুল আক্তার।
বাবুলের জঙ্গিবিরোধী ভূমিকার জন্যই তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে- এ ধারণার ওপর ভিত্তি করেই এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে মিতু খুন হওয়ার পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের মধ্যে জঙ্গি দমনে শুক্রবার দেশজুড়ে ‘সাঁড়াশি অভিযান’ শুরু করেছে পুলিশ। অভিযানের প্রথম দিনেই হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে একিউআইএস মিতু হত্যাকাণ্ডের জন্য জঙ্গিদের দায়ী করার নিন্দা জানিয়েছে বলে সাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ড ইসলামে ‘অনুমোদনযোগ্য নয়’ বলে আনসার আল ইসলামের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডের পর একিউআইএসের দায় স্বীকারের খবর দেয় সাইট।
তার আগে ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়ও একিউআইএসের নামে দায় স্বীকারের খবর আসে।
তাদের প্রথম দায় স্বীকারের খবর আসে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায়।
এরপর ওই বছর মে মাসে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ খুনসহ আরও বেশি কয়েকটি হত্যা ও হামলার পর হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করে একিউআইএসের সংশ্লিষ্টতার দাবি করা হয়েছিল।
তবে এই সংগঠনটির তৎপরতার বিষয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে তেমন তথ্য নেই।