চলতি মাসেও যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করবেন না, তারা সেই সিম আবার কিনতে চাইলে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
Published : 15 May 2016, 04:47 PM
রোববার সচিবালয়ে ‘কলড্রপে ক্ষতিপূরণ’ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। এরপর যেসব সিমের নিবন্ধন থাকবে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩১ মে ‘জিরো আওয়ার’ থেকেই এ সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।”
বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো টানা দুই মাস, অর্থাৎ অগাস্টের আগে আর কেনার সুযোগ থাকছে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
“অনিন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে গেলে তা টানা দুই মাসের জন্য বন্ধ থাকবে। এ সময় সিম উঠানো যাবে না বা কেনা যাবে না। দুই মাস পর সেই সিমগুলো কিনে নিতে হবে গ্রাহককে।”
তবে প্রবাসী গ্রাহকের ক্ষেত্রে অনিবন্ধিত সিম কেনার সুযোগ থাকছে ১৫ মাস, এজন্য প্রবাসীদের দেশে ফেরার প্রমাণ (এরাইভাল সিল) দেখাতে হবে বলে জানান তারানা।
বিটিআরসির গত বছরের মার্চের এক নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো সিম বন্ধ হয়ে গেলে সেই সিম ১৫ মাসের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এরপর আর মালিকানা দাবির সুযোগ থাকে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হাতে থাকা ১৩ কোটি মোবাইল সিমের মধ্যে ১৫ মে সকাল পর্যন্ত ৯ কোটি ৪০ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে।
অপরাধমূলক কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এ জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও পরে তা এক মাস বাড়ানো হয়।
একজন গ্রাহক কতটি মোবাইল ফোন সিমের মালিক তা তাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা।
তিনি বলেন, “একজন গ্রাহকের জানার অধিকার রয়েছে তিনি কতটি সিমের মালিকানায় রয়েছেন। গ্রাহককে তা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।”
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গত ডিসেম্বরে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেয়।
কারও কাছে ২০টির বেশি সিম থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে জানিয়ে সে সময় এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষ হলে জানা যাবে- কার কাছে কতটি সিম রয়েছে।