জ্বালানি তেলের দাম কমায় গণপরিবহনের ভাড়া পুনর্নির্ধারণে সরকার ও পরিবহন মালিকপক্ষের প্রস্তাবে পার্থক্য শুধু এক পয়সা।
Published : 02 May 2016, 05:32 PM
সোমবার এলেনবাড়ীতে বিআরটিএ ভবনে ভাড়া বিশ্লেষণ কমিটির বৈঠকে মালিকপক্ষ এই ‘এক পয়সা’ নিয়ে তাদের বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।
দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটার বাসভাড়া তিন পয়সা করে কমানোর প্রস্তাব করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
অবশ্য তিন পয়সা কমানো হলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে যুক্তি উপস্থাপন করে পরিবহন মালিকরা দুই পয়সা কমানোর প্রস্তাব দেন।
সভা শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর হবে; সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সভার আলোচনার বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার পক্ষ থেকে তিন পয়সা ভাড়া কমানোর প্রস্তাব করা হলেও আমরা দুই পয়সা কমানোর প্রস্তাব করেছি।”
এর যুক্তি হিসেবে এনায়েত বলেন, “সিলেট রুটে জ্বালানি তেলের খরচ পরিবহন প্রতি কমেছে ৩০০ টাকা, এখানে তিন পয়সা কমানো হলে ব্যয় বেশি হবে এবং দুই পয়সা করা হলে তাতে তেমন ক্ষতি হবে না।”
“শুধু জ্বালানি তেলের কথা বিবেচনা করলে হবে না; এর সাথে যন্ত্রাংশ, মেরামত, ভ্যাটসহ আরও ২২টি বিষয় জড়িত রয়েছে, সেখানে দাম কমেনি বরং বাড়ছে,” বলেন পরিবহন মালিকদের এই নেতা।
গত রোববার মধ্যরাত থেকে অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা এবং ডিজেলের দাম তিন টাকা কমিয়েছে সরকার।
তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর আগে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। সে যুক্তি দেখিয়ে এবার ভাড়া কমানোরও দাবি রয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলনে যুক্তদের।
অবশ্য যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন ‘যাত্রী কল্যাণ সমিতি’র মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই বা তিন পয়সা ভাড়া কমিয়ে যাত্রীর কোনো লাভ হবে না। এক্ষেত্রে দূর পাল্লায় তিন থেকে চার টাকা ভাড়া কমতে পারে। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে এর কয়েকগুন ভাড়া বৃদ্ধি হতো। এই ধরনের বৈঠক একটি আইওয়াস।”