সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় দুই দফায় ১০ দিন পুলিশ রিমান্ডের পর শফিক রেহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 27 Apr 2016, 04:55 PM
বুধবার শফিক রেহমানকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আর রিমান্ডের আবেদন না জানানোয় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান।
এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে তাকে পাঠানো হয় কাশিমপুর কারাগারে।
গাজীপুরের সুরক্ষিত এই কারাগারে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানও রয়েছেন। বন্দি মাহমুদুরকেও শফিক রেহমানের মতো জয়কে হত্যার চক্রান্তের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শফিক রেহমানের রিমান্ড ফেরতের প্রতিবেদনে পুলিশ বলেছে, “তিনি (শফিক রেহমান) যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে সম্পর্কিত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
“তিনি তো খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি, যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক। ইনি জামিন পেলে এই মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। যদি তার বিরুদ্ধে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যায় তাহলে আবারও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে। আপাতত তাকে কারাগারে পাঠানো হোক।”
৮২ বছর বয়সী শফিক রেহমানের আইনজীবীরা নতুন করে জামিনের আবেদন না করলেও কারাগারে তাকে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
শুনানির সময় শফিক রেহমানকে এজলাসে তোলা হয়নি, তাকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়কে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা মামলায় গত ১৬ এপ্রিল বিএনপিঘনিষ্ঠ সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মার্কিন আদালতে প্রসিকিউশনের নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করাই’ ছিল সিজারের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য। সিজার কিছু তথ্য বাংলাদেশি ‘এক সাংবাদিককে’ সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে ‘প্রায় ৩০ হাজার ডলার’ পেয়েছিলেন।
শফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান দাবি করেছেন, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে নিবন্ধ লেখার জন্যই তার স্বামী ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
একই কারণে শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে তালেয়ার দাবি, যে এজেন্টও যুক্তরাষ্ট্রের ওই মামলায় দণ্ডিত।