সেনানিবাস এলাকায় ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে হত্যায় ‘অসাধারণ’ কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
Published : 23 Mar 2016, 08:09 PM
শাহবাগে বুধবার এক সমাবেশে তিনি বলেন, “তনুকে খুন করার স্থানটি অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি জায়গা, সেনানিবাস। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।
“সেখানে কীভাবে অপরাধীরা ধর্ষণ ও খুন করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পারল সেটি একটি বড় প্রশ্ন? তবে কী এই ঘটনার সাথে অসাধারণ কেউ জড়িত।”
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রতিবাদ জানাতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিকালে এই প্রতিবাদ সমাবেশের পর মশাল মিছিল বের করে সংগঠনটি।
ইমরান বলেন, “দেশব্যাপী গুম, খুন, ধর্ষণ, লুটপাটসহ সকল অপরাধের মহোৎসব চলছে। খুব সুকৌশলে আমাদেরকে এমন একটি পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যেন আমরা প্রতিবাদ, প্রতিরোধের উৎসাহ হারিয়ে ফেলি।”
“গত ২০ মার্চ সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর তিন দিন সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা দেখিনি।”
রিজার্ভের অর্থ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার সঙ্গে তনুহত্যার সম্পর্ক থাকার বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন ইমরান।
“আমাদের মনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে, শক্তিশালী কারও মদদে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লুটপাটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কি তনুকে ধর্ষণ ও হত্যা? আমাদের এই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণের দায়িত্ব প্রশাসনের।”
ইমরান বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কেউ কেউ নারীর প্রতি সহিংসতাকে আস্কারা দিয়ে থাকেন।
“তাদের বক্তব্য বিবৃতি যেমন মূল অপরাধের ঘটনা থেকে মানুষের মনযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নেয়, তেমনি তাদের অব্যাহত গাফিলতি নতুন আরেকটি অপরাধকে আস্কারা দেয়।”
সকলকে জোটবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ধর্ষক ও খুনিদের বিচারের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, নতুবা ধ্বংসই হবে আমাদের নিয়তি।”
একই দাবিতে শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে মঞ্চ।