হোম
+
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নিরাপত্তায় বিজিবি দরকার পড়বে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
Published : 17 Feb 2016, 11:30 PM
বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
শাহনেওয়াজ বলেন, "প্রথম ধাপে পৌনে সাত হাজারের মত কেন্দ্রে ভোট হবে। পুলিশ, র্যাব ও আনসার দিয়ে সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে পারব না। তাই বিজিবি দরকার হবে। আমরা ভোটের দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের অনুরোধ করব।”
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো কারণ নেই বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি।
সর্বশেষ ইউপি ভোটে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি থাকলেও এবার বিজিবি না রাখার পরিকল্পনার কথা একদিন আগেই জানিয়েছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে বিএনপির শঙ্কার মধ্যে একজন কমিশনারের আগাম বক্তব্যে ইসিতে সমালোচনাও হয়। এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন শাহনেওয়াজ।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ
এক প্রশ্নে শাহনেওয়াজ বলেন, “গত নির্বাচনে যারা ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, এবারও তারা থাকবে। পুলিশ, আনসার ও র্যাবের সঙ্গে বিজিবি থাকবে; কাউকে বাদ দেওয়া হবে না।”
নিরস্ত্র ও সশস্ত্র আনসার আনসার আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সেনাবাহিনী মোতায়েন চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্ত। গত পৌর ভোটেও সেনা মোতায়েন না করে সুন্দরভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এ নির্বাচনেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা বা সম্প্রীতি নষ্টের শঙ্কা নেই। কাজেই সেনাবাহিনীকে চট করে নিয়ে আসার কোনো কারণ আমি দেখি না।”
তবে সব কিছুর বিষয়ে কমিশন সভায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
শাহনেওয়াজ বলেন, “যখন কমিশন সভা হবে, তখন সিদ্ধান্ত হবে ভোটে কারা থাকবে। স্বাভাবিক অবস্থায় সেনা মোতায়েনের কোনো কারণ দেখি না। সে ধরনের কোনো অবস্থা বিরাজ করছে না।”
আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৯ ইউপিতে ভোট হবে। আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। পরে আরও পাঁচ ধাপে সাড়ে তিন হাজার ইউপির ভোট হবে।
