সারা দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার দ্বিতীয় দিনে সংকট নিরসনে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
Published : 12 Jan 2016, 05:37 PM
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে ওই বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেছেন, সমস্যার সমাধানে একধাপ এগিয়েছেন তারা।
বেতন কাঠামোয় ‘অসঙ্গতি’ নিরসনের দাবিতে সোমবার দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ থাকে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে শিক্ষকদের।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ঘণ্টাখানেক রূদ্ধদ্বার বৈঠকের পর নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“আমরা এগোচ্ছি, আমরা খুবই আশাবাদী। একটা সুষ্ঠু সমাধানে যাওয়ার জন্য যে কার্যক্রম নেওয়া দরকার সে কার্যক্রমটা আজকের আলোচনায় আরও এগোল।”
গত বছরের মাঝামাঝিতে অষ্টম বেতন কাঠামো প্রস্তাবের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা নানা কর্মসূচিতে নিজেদের ‘মর্যাদাহানি ও সুবিধা কমে যাওয়ায়’ আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন।
গত মাসে বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে সরকার একটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু এখনও দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনার কোনো বিকল্প নেই, এজন্য আমরা আলোচনা করেছি। আমরা চাচ্ছি একটা সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।
“আমরাতো সবসময় এগোতে চাই।… আলোচনা চলবে। আমরা হয়তো ইনশাআল্লাহ এক জায়গায় পৌঁছে যাব।”
আন্দোলন থেকে সরে আসছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওই পর্যায়ে আসেনি, আমরা শুরুটা করলাম।”
শিক্ষকদের কোনো আশ্বাস দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা আশ্বাস দেওয়ার কে? আমি শিক্ষা পরিবারের সদস্য, গভর্নমেন্টেরও সদস্য। গভর্নমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু কিভাবে সমাধানে যাওয়া যায় সে বিষয়টি তো আমরা আলোচনা করতেই পারি।
“‘আমরা চাইব যেন এমন একটি সন্তোষজনক সমাধান আসে, যেখানে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকদের সত্যিকার অর্থে সম্মান বজায় থাকে। একইসঙ্গে বেতন নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তার যেন সমাধান হয়।”