কিশোরগঞ্জের রাজাকার হিসেবে পরিচিত সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
Published : 07 Jan 2016, 05:07 PM
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। মোসলেম প্রধানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
মোসলেম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হলেও হুসাইনকে করা যায়নি। তিনি মালয়েশিয়ায় আছেন।
পলাতক হুসাইনের বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।
আদেশের পর আইনজীবী সাত্তার পালোয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুইজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আসামির বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।”
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হুসাইনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ওই অভিযোগ তদন্তকালে মোসলেম প্রধানের নাম আসে।
পরে দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ এনে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা। এরপর ৩ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমার চার্জ) দাখিল করা হয়।
এর আগে ৭ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
হুসাইনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কিশোরগঞ্জে ছিলেন। মোসলেম কিশোরগঞ্জের নিকলি থানার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিকলিতে।
হুসাইন ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাছেন আলীর ছোটভাই। গত ৯ জুন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গুলি করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।