সিঙ্গাপুর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া ১৪ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Published : 27 Dec 2015, 08:01 PM
তাদের কেউ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেননি।
গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে এই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে উত্তরা পূর্ব থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাদের জঙ্গি দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে এনেছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই ১৪ জন হলেন- কুমিল্লার গোলাম জিলানী (২৬), মাহমুদুল হাসান (৩০) ও নুরুল আমিন (২৬), টাঙ্গাইলের আবদুল আলীম (৩৩), আমিনুর (৩১) ও শাহ আলম (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাফর ইকবাল (২৭), কুড়িগ্রামের আলম মাহবুব (৩৪), মুন্সীগঞ্জের মোহাম্মদ জসিম (৩৩), চুয়াডাঙ্গার আবদুল আলী (৪০), ঢাকার সাইফুল ইসলাম (৩৬), চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডলার পারভেজ (৩৫), পাবনার আশরাফ আলী (২৭) ও ঝিনাইদহের আকরাম হোসেন (২৭)।
মামলায় বলা হয়, সিঙ্গাপুরের মোস্তফা নামের একটি মার্কেটের কাছে এক মসজিদে প্রতি সপ্তাহে একদিন এই ১৪ জন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা করতেন। সেখানে জিহাদি বক্তব্য, ভিডিও প্রদর্শন করে জঙ্গি কার্যক্রমে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতেন তারা।
সিঙ্গাপুর পুলিশ তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পর উত্তরার ওই বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোস্তফা আনোয়ার জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনে বলেছিলেন, সিঙ্গাপুর পুলিশ তাদের পাঠিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশেও তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া গেছে- জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে সব তথ্য পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের আবার রিমান্ডে চাওয়া হবে।”
তবে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে, সে বিষয় স্পষ্ট কিছু বলেননি ডিবি কর্মকর্তা আনোয়ার।