পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানিতে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি উল্লেখ করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
Published : 24 Dec 2015, 10:10 PM
গত ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের উৎসবের মধ্যে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের ওপর চড়াও হয়।
প্রথমে পুলিশ ঘটনাটি এড়াতে চাইলেও বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের দাবির মুখে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা এবং তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছিল।
এরপর ১৭ মে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি দেখে আট নিপীড়ককে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা দেন তিনি।
তবে ঘটনার আট মাস পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস ঢাকার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, অপরাধী কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
গত ১৩ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদন দেওয়া হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এতদিন এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বৃহস্পতিবার তা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা জানতে পারেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা দীপক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনাটি সত্য, কিন্তু কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। এজন্যই ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার দিন নিপীড়কদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী।
তিনি বলেছিলেন, তখন চার নিপীড়ককে ধরে সেখানে কর্তব্যরত দুই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্র ও নারী অধিকার সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি নিয়ে নামলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এই মামলায় আসামির তালিকায় কারও নাম ছিল না।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “এরপর পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তাদের কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।”
এই আইনের মামলার তদন্ত ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে শেষ করার বিধান থাকলেও আদালতের অনুমতি নিয়ে সময় বাড়ানো হয় বলে জানান তিনি।