সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের আবেদনপত্রের তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সেবাদানকারী ছয় কোম্পানি।
Published : 03 Nov 2015, 05:07 PM
আগারগাঁওয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে মঙ্গলবার এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে এআইডি উইংয়ের পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান।
এই চুক্তির ফলে নির্বাচন কমিশনের হাতে সংরক্ষিত নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের সুযোগ পাবে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক। মোবাইল গ্রাহকদের নিবন্ধনের তথ্যের সঙ্গে তাদের পরিচয়পত্রের তথ্য মিলিয়ে দেখা সম্ভব হবে।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের অনুমিত চায় কোম্পানিগুলো।
আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভেরিফিকেশন সার্ভিস দেওয়ার জন্য টেলকোসহ অনেকেই আবেদন করেছে। ইসি যাদের বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে তাদের সঙ্গেই পর্যায়ক্রমে চুক্তি হচ্ছে। আজ ছয়টি মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হল।”
রবি’র মুখপাত্র ইকরাম কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে বিশাল পদক্ষেপ। ইসির কানেকটিভিটির সাহায্য নিয়ে তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে খুব নিখুঁতভাবে কাজ এগিয়ে নিতে পারব আমরা।”
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ৯ কোটি ৬২ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য রয়েছে ইসির কাছে। যদিও নাগরিকদের হাতে সিম রয়েছে ১৩ কোটির মতো।
তথ্য যাচাইয়ে ইসিকে নির্ধারিত চার্জ ও ফি দিতে হয় মোবাইল কোম্পানিগুলোকে। পাঁচ লাখ টাকা এককালীন চার্জ ছাড়াও প্রতিটি তথ্য যাচাইয়ে ইসিকে দিতে হবে দুই টাকা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ছাড়াও বেসরকারি দুটি ব্যাংক এর আগে অনলাইনে এনআইডি ভেরিফিকেশন সার্ভিস নিয়েছে।