আগামী এপ্রিলের পর থেকে অনিবন্ধিত সিমের জন্য অপারেটরদের সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার বিধান কার্যকর করা হচ্ছে।
Published : 20 Oct 2015, 05:55 PM
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ দিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসেছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় সরকার।
২০১২ সালে প্রি-একটিভ সিম (আগে থেকেই চালু) বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তা ধরা পড়লে সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে তিন বছরেও তা কার্যকর হয়নি।
এবার আগামী ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
গ্রাহক পরিচয় নিশ্চিত করতে অপারেটররা যে সুযোগ চেয়েছিল, তা দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, “জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাদের তিন মাস সময় দিচ্ছি নিবন্ধন সঠিক করে নেওয়ার, এর পর অর্থাৎ এপ্রিল মাসের মধ্যে এটি যদি করা না যায়, তাহলে সিম প্রতি জরিমানার যে বিধান রয়েছে, সেটি প্রযোজ্য হবে।”
ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়ের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে।
“এনআইডি এক্সেসও তাদের দেওয়া হয়েছে, তখন কিন্তু অপারেটরদের আর কোনো যুক্তি থাকবে না,” বলেন তারানা।
মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হওয়ার পর অপারেটররা গ্রাহকের সিম নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য এনআইডি কর্তৃপক্ষকে দেওয়া শুরু করে।
গ্রাহক নিবন্ধন যাচাইয়ে তথ্য দিতে অপারেটরদের ধীর গতিতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপর প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি সিম।
একটি ‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলা হয়েছে। আরও তিনটি এনআইডি পাওয়া গেছে, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬টি, ১১ হাজার ৩২৮টি ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে বলেও যাচাইয়ে ধরা পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির শুরু করার ঘোষণা আসে।
বর্তমানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকসহ মোট ৬টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।