দুদকের মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কক্সবাজারের আলোচিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির একটি রিট আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট।
Published : 01 Oct 2015, 01:44 PM
এর ফলে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা এই মামলা স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বদির আবেদনটি ‘উপস্থাপিত হয়নি- মর্মে’ খারিজ করে দেয়।
ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আগামী ৬ অক্টোবর এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন রয়েছে।
কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ বদির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী প্রবীর হালদার।
তিনি জানান, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া ও কার্যক্রম কেন বেইআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল চাওয়ার পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বুধবার তারা আবেদনটি করেন।
“আদেশে আদালত বলেছে, ফৌজদারি কার্যক্রম নিয়ে রিট হয় না, ৫৬১/এ ধারায় বাতিল আবেদন করা যেতে পারে।”
দুদকের উপপরিচালক আবদুস সোবহান গতবছর ২১ অগাস্ট ঢাকার রমনা থানায় সাংসদ বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের এই মামলা করেন।
২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদের বিবরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে।
দুদকের নোটিসে বদি গতবছর ২০ মার্চ সম্পদের যে হিসাব বিবরণী দাখিল করেছিলেন, তাতে নিজের ও সন্তানদের নামে ৫ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৮ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
দুদকের উপ-পরিচালক মনজুর মোরশেদ চলতি বছর ৭ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দিলে মামলাটি বিচারের পর্যায়ে আসে।
এই মামলায় গতবছর গ্রেপ্তার হয়ে তিন সপ্তাহ কারাগারেও ছিলেন আব্দুর রহমান বদি। পরে তিনি হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান।
ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে সাংসদ বদির নাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাতেও এসেছে।