ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মঙ্গলবার এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৬ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাংসদ বদির নাম ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাতেও এসেছে।
দুদকের উপপরিচালক আবদুস সোবহান গতবছর ২১ অগাস্ট ঢাকার রমনা থানায় সাংসদ বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের এই মামলা করেন।
২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদের বিবরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে।
দুদক নোটিসে গতবছর বদি গতবছর ২০ মার্চ সম্পদের যে হিসাব বিবরণী দাখিল করেছিলেন, তাতে নিজের ও সন্তানদের নামে ৫ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৮ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
দুদকের উপ পরিচালক মনজুর মোরশেদ চলতি বছর ৭ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
এ মামলায় জামিনে থাকা বদি মঙ্গলবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।
তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মাহফিজুর রহমান লিখন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন কবীর হোসাইন।
শুনানি শেষে বিচারক বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দেন।
দুদকের করা এই মামলায় গতবছর গ্রেপ্তার হয়ে তিন সপ্তাহ কারাগারেও ছিলেন আব্দুর রহমান বদি। পরে তিনি হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান।
গতবছর ৩০ অক্টোবর মুক্ত হওয়ার পর নিজের এলাকায় ফিরে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের ‘ধন্যবাদ’ জানান আব্দুর রহমান বদি।
সে সময় কক্সবাজার পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে পাঠানোর কারণে এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা যাচাই হয়েছে এবং উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে।… আমাকে সারাদেশে ব্যাপকভাবে পরিচয় করে দিয়েছে সাংবাদিকরা। তাই সাংবাদিকদের প্রতি স্যালুট।”