ডিসেম্বরে সারাদেশে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভায় ভোটার নিবন্ধন কাজে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
Published : 25 Aug 2015, 10:11 PM
মঙ্গলবার ইসির এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসান।
নির্দেশনায় আসন্ন পৌরসভা সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিবন্ধনের তফসিল সংশোধন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
গত ২৫ জুলাই দেশজুড়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিন ধাপে পুরো দেশের নিবন্ধন কাজ শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারিতে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় স্তরের প্রথম পর্যায়ের নিবন্ধন ২২ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের নিবন্ধন কার্যক্রম ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করার চলমান সূচি রয়েছে।
দেশের ৫১৪ উপজেলায় তিন ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি-আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন চলবে। প্রথম ধাপে ১৮৯ উপজেলা, দ্বিতীয় ধাপে ১৮৪ উপজেলা ও তৃতীয় ধাপে ১৪১ উপজেলায় হালনাগাদের কর্মসূচি রয়েছে।
চলতি মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির সভায় জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, “২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দুই শতাধিক পৌরসভার নির্বাচন করতে হবে। সে হিসাবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসব পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।”
ওই সময় ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে যে এলাকায় নির্বাচন হবে সে এলাকায় হালনাগাদ কাজ পিছিয়ে দেওয়া হবে।