সড়কে ফিটনেসবিহীন মোটরযান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার চালকের হাতে থাকা ‘ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স’ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 03 Aug 2015, 01:27 PM
যারা এ ধরনের লাইসেন্স ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ তিনদফা নির্দেশনা দেয়।
এসব নির্দেশনার কতোটা বাস্তবায়ন করা হল- তা জানিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিষয়টি আগামী ২ সেপ্টেম্বর আবার হাই কোর্টের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদালতের আদেশে জানানো হয়।
একটি ইংরেজি দৈনিকে রোববার প্রকাশিত ‘নাইনটিন লাখ ফেইক ড্রাইভারস রুল দ্যা হাইওয়েস’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আদালত এই আদেশ দেয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গত জুন মাসের তথ্যের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার চালকের কাছে বৈধ লাইসেন্স নেই, যা সড়ক দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে।
১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলাচলের সুযোগ না থাকার পরও যেসব বাহন ‘মোটরযান’ হিসেবে চলছে, সেগুলো বন্ধের কথা বলা হয়েছে আদালতের তৃতীয় নির্দেশনায়।
আর প্রায় ১৯ লাখ ‘ভুয়া’ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি অবগত হয়েও কোনা পদক্ষেপ না নেওয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে জারি করা হয়েছে রুল।
যোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম ও পূরবী সাহা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।