মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সামিউন রহমান ইবনে হামদানের জামিন হয়নি হাই কোর্টেও।
Published : 23 Jul 2015, 04:27 PM
বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেয়।
গত ২৯ এপ্রিল বিচারিক আদালত হামদানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে হাই কোর্টে আসেন তিনি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ আল আসাফুর আলী।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে হামদানকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, এই মামলায় গত ৪ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২২ জুলাই তা নথিভুক্ত হয়।
“অথচ আসামিপক্ষের ১৪ জুলাই করা সম্পূরক আবেদনে এই তথ্য উল্লেখ না করেই জামিনের আবেদন করা হয়। অভিযোগপত্র দাখিলের পর আগের আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চাওয়ার সুযোগ নেই।”
বিচারিক আদালতে ৩ অগাস্ট মামলার পরবর্তী দিন রয়েছে বলে জানান মুরাদ রেজা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিষিদ্ধ উগ্রপন্থি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য সন্দেহে রাজধানী থেকে মো. আসিফ আদনান (২৬) ও মো. ফজলে এলাহী তানজিল (২৪) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৪ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ।
আসিফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে হামদানকে আটক করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, হামদান গত বছরের ২৭ অগাস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গুলশানের আবাসিক হোটেল ‘মেজবান’- এ ‘আরা হামদান’ পরিচয়ে অবস্থান করেন বলে হোটেলের রেজিস্ট্রারের দেখা গেছে।
হামদান একাধিক বার মরক্কো, মৌরিতানিয়া ও তুরস্ক হয়ে সিরিয়া যান বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিরিয়ায় নুসরা ব্রিগেডে সদস্য হয়ে কথিত জিহাদে অংশ নেন তিনি।
জিহাদে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তিনি এক বন্ধুসহ লন্ডন থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যান।
মূলত আইএস ও নূসরা ব্রিগেডের জন্য সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে আসিফ আদনানসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন হামদান।