বৃষ্টির পানিকে কাজ লাগানো হবে: তাজুল

“আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে; তাই ভবিষ্যতে পান করার জন্য পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে,” বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2024, 03:55 PM
Updated : 24 March 2024, 03:55 PM

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুপেয় পানি সরবরাহকে ভবিষ্যতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, “পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, লবণাক্ত পানির কারণে জীববৈচিত্র্য এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সুপেয় পানির উৎসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।”

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে রোববার বিকালে ঢাকার একটি হোটেলে ইউনিসেফ আয়োজিত ‘শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তারপরও আমাদের গৃহস্থালি, কৃষি, শিল্পসহ নানা ক্ষেত্রে আমাদের মিঠা পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে পান করার জন্য পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে।

“সেজন্য সরকার এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি অর্থাৎ ভূউপরিভাগের পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।”

শিল্প কারখানার বর্জ্য পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন পানি পরিশোধন করার উপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “এই দুই উৎসস্থলের পানি অপরিশোধিত হলে তা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করে এবং সুপেয় পানিকেও তা দূষিত করে।”

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক তানভীর আহমেদ।

তিনি বলেন, “বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই পানির তীব্র সংকটের সম্মুখীন। প্রাচীন ইতিহাস থেকে আধুনিক যুগে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি সংঘাতের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“হস্তক্ষেপের অভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তনে পানিকে উপেক্ষা করা সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করতে পারে, জলবায়ু অভিবাসন ঘটাতে পারে। তবে আন্তঃসীমান্ত পানি সহযোগিতা শান্তি ও আস্থার পথ প্রশস্ত করতে পারে।”

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিডার রাজেন্দ্র বোহরা।