শুক্রবার রাত পৌনে তিনটায় উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
Published : 05 Oct 2024, 02:15 PM
সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে বাসস জানিয়েছে, এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়।”
রাষ্ট্রপ্রধান মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রকাশ করেছেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় জানানো হয়েছে।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, ''জাতি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান- জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।''
বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সুদীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিটিভিতে তার 'আমার ডাক্তার' অনুষ্ঠানটি কোটি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
“রাজনীতিতেও একই নিষ্ঠা নিয়ে এসেছিলেন ডা. বদরুদ্দোজা। পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। সংসদে তার বক্তব্য সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসনীয় ছিল।'
শোকবার্তায় তিনি আরও বলেন, বদরুদ্দোজা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। তিনি তার উদারতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
ডা. বদরুদ্দোজার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সবাইকে জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
শুক্রবার রাত পৌনে তিনটায় উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
পরে বি চৌধুরী বিএনপি ছেড়ে ২০০৪ সালের ৮ মে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি আমৃত্যু দলটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।