জুরাইনের বাসিন্দা মনজুরুল হাসান রাজিব বলেন, “পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই ফ্লাইওভার আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এখন এই ফ্লাইওভারে যাতায়াত বিভীষিকাময়, মহা আতঙ্ক, আপদের নাম।”
Published : 25 Oct 2024, 01:35 AM
ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী এলাকার মানুষকে স্বস্তি দিতে তৈরি হয়েছিল যে উড়ালপথ, সেই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারেই এখন জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে যানজট।
একটা সময়ে মাঝেমধ্যে এই ফ্লাইওভারে যানজটের কথা শোনা গেলেও এখন প্রায় প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে গাড়ি। সেই যানজট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, পোস্তগোলা ছাড়িয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়ক পর্যন্ত যাচ্ছে।
দিনের পর দিন চলা তীব্র এ যানজটে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রী, যানবাহনের চালকরা।
ওই এলাকা ঘুরে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, যানবাহনের চালক-যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যানজটের বেশ কয়েকটি কারণ।
পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণের পথে অনেক নতুন নতুন গাড়ি যেমন নেমেছে, তেমনি সরকার পরিবর্তনের পর ট্রাফিক বিভাগের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে অনেকটা বাধাহীনভাবেই রাজধানীতে প্রতিদিন ঢুকছে অনুমোদনহীন বাস। এসব অতিরিক্ত যানবাহনের গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া এলাকায় চলে আসছে।
তাছাড়া শিথিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সড়ক ও ফুটপাত দখল, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, অটোরিকশার এলোমেলো চলাফেরা, পার্কিং বাড়িয়ে দিচ্ছে যানজটের তীব্রতা।
দেখা গেছে, শনির আখড়া এবং দোলাইরপাড় থেকে হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠা যানবাহনগুলো দুই লেন ব্যবহার করে গুলিস্তান পর্যন্ত আসে। গুলিস্তান টোলপ্লাজার আগে এসে আবার দুটি পৃথক লেন হয়ে যায়। একটি লেন ধরে গুলিস্তান টোল প্লাজায়, আরেকটি লেন হয়ে ফ্লাইওভারের উপরের টোলপ্লাজায় যায় যানবাহন।
দুই লেন ধরে এসে একটি লেন হয়ে যাওয়ায় যানবাহনের গতি কমে যায়। আবার এই অংশে এসে অনেক গাড়ি লেন পরিবর্তন করে, কিছু যানবাহনের ওভারটেক করার চেষ্টায় যানজট বেড়ে যায়। আবার টোলপ্লাজার পর চাঁনখারপুল পর্যন্ত একটি লেনে যানবাহন যায়।
অন্যদিকে, ফ্লাইওভারের দুটি র্যাম্প নেমেছে গোলাপবাগ এবং সায়েদাবাদে। এরমধ্যে গোলাপবাগ প্রান্তে নামলেই গোলাপবাগ মোড়ের যানজটে পড়তে হয়।
জট বাড়িয়েছে অবৈধ বাস
রুট পারমিট না থাকলেও ঢাকার গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন রুটে দোলা, ইমাদ, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (করিম মোটরস), স্টার এক্সপ্রেস (কোটালিপাড়া), ওয়েলকাম এক্সপ্রেস, হানিফ পরিবহন, ফাল্গুনী, গোল্ডেন লাইন, পালকি, চেয়ারম্যান পরিবহনের কয়েকশ বাস চলাচল করছে।
চালকদের সঙ্গে কথা বলে করিম মোটরর্সের ১২০টি, ওয়েলকাম পরিবহনের ৩৫টি, ফাল্গুনী পরিবহনের ২২টি, ইমাদ পরিবহনের ৭০টি, দোলা পরিবহনের ৪৮টি বাস চলাচলের তথ্য পাওয়া গেছে। সে হিসাবে এই পাঁচটি পরিবহনেরই ২৯৫টি বাস চলে গুলিস্তান থেকে। বাকি পরিবহনগুলো মিলিয়ে বাসের সংখ্যা একশর বেশি। সে হিসাবে প্রতিদিন গুলিস্তানে অন্তত ৪০০ বাস আসছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ এবং পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এসব পরিবহনের কোনোটিরই গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া থেকে চলাচলের অনুমোদন নেই। পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাস সায়েদাবাদ থেকে চলাচল করার কথা।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে কয়েকটি পরিবহন গুলিস্তান থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন রুটে বাস পরিচালনা করত। তবে গত ৫ অগাস্ট সরকার বদলের পর আরও বাস ঢুকছে গুলিস্তান এলাকায়। রুটপারমিটহীন বাসগুলো গুলিস্তান ওই এলাকার সড়কে চাপ বাড়িয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশের ভাষ্য।
দেখা গেছে, বাসগুলো গুলিস্তান ফ্লাইওভার থেকে নেমে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স সিগনালে এসে ডানে মোড় নেয়। সেখান থেকে গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনে গিয়ে কিছু বাস বাঁয়ে ঘুরে গোলাপশাহ মাজার হয়ে বঙ্গবাজারের দিকে চলে যায়। এসব বাস রাখা হয় কবি সুফিয়া কামাল হল, নগর ভবনের সামনের সড়কসহ আশপাশের সড়কে। কিছু বাস জিরো পয়েন্ট হয়ে যায়।
আসা-যাওয়ার পথে এসব বাস বঙ্গবাজার, নগরভবন, গোলাপশাহ মাজার, শহীদ নূর হোসেন চত্বর ঘুরে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়ার সড়ক ব্যবহার করে।
সড়কের বেশিরভাগ জায়গা দখলে থাকায় বড় আকারের এসব বাস ঘোরাতে জায়গা বেশি লাগে, সময় বেশি লাগে। এ সময় পেছনে অন্য যানবাহন আটকে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নানা সমস্যার কারণে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় যানজট হয়। তবে সবচেয়ে এতে বেশি ভূমিকা রাখছে ব্যাটারিচালিত রিকশা।
“এগুলো বন্ধ হলে আমরা মোটামুটি ভালো পর্যায়ে চলে যাব। কিন্তু নানা কারণে এগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখার।”
হকার, রিকশা, মোটরসাইকেলের দখলে পুরো সড়ক
গুলিস্তান সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স থেকে গুলিস্তান সিনেমা হল হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ফুটপাত ছাড়াও সড়কের বেশিরভাগ অংশ দখল করে দোকানপাট করা হয়েছে।
আবার গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনে থেকে গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত একমখী চলাচলের সড়কটি চার লেনের। দুপাশের ফুটপাত, সঙ্গে ওই সড়কের তিনটি লেনে দোকানপাট। সেখানে একটি গাড়ি কোনো মতে চলতে পারে। সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স থেকে সুন্দরবন স্কয়ারের পাশ দিয়ে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কটিও হকারদের চলে গেছে।
এতে ফ্লাইওভার থেকে গুলিস্তান নামার পর যানবাহন সোজা যেতে পারে না। বেশিরভাগ যানবাহন ডানদিকে মোড় নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (গুলিস্তান সিনেমা হল), বায়তুল মোকাররমের দিকে চলে যায়। দেখা গেছে, ফ্লাইওভার থেকে নেমেই যানবাহনগুলোকে আটকে যেত হয়।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা যানবাহনকে ডান দিকের সড়ক হয়ে যাওয়ার সিগনাল দেওয়ার পরও গাড়িগুলো আর সামনে এগুতে পারছে না।
কারণ সামনে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের সামনের তিন লেনের সড়কের একটি লেন পুরোপুরি দোকানপাট দেওয়া হয়েছে। একটি লেন দখলে নিয়েছে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলের চালকরা।
সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে সিগনালে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ওয়ালিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়িগুলো নেমে বেশিরভাগই ডানদিকে যায়। কিন্তু সামনে প্রতিবন্ধকতা থাকায় যানবাহন এগুতে পারে না।
“দেখেন, ফুটপাত দখলে, রাস্তার একটা লেনেও দোকান দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই লেনের একটায় রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালক, অটোরিকশা, ব্যাটারি রিকশার চালকরা দখল করে রেখেছে। ফ্লাইওভার থেকে আসা গাড়িগুলোকে যদি দুইটা লেন দিয়েও পার করতে পারতাম, তাহলে টেইল (পেছনের গাড়ির সারি) এত বড় হত না। এদের কন্ট্রোল করতে আমাদের জেরবার অবস্থা।”
গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনের মোড়েও সড়কের বেশিরভাগ অংশ দোকানদারদের দখলে। জামা-জুতা, লেবু-আখ, শরবত, ফুচকা-চটপটিসহ নানা খাবারের দোকান দেওয়া হযেছে সড়কের বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে।
দেখা গেছে, ফ্লাইওভার থেকে বা মতিঝিল থেকে যেসব যানবাহন আসছে, তা এখানে এসে থেমে যাচ্ছে। আবার বড় বাস ঘোরানোর জায়গা পাচ্ছে না, দীর্ঘ সময় নিয়ে পার হচ্ছে।
গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনের সড়কে শরবত বিক্রেতা মোহাম্মদ আজিম দাবি করেন এই অংশে সড়ক ফাঁকা, গাড়ি তেমন আসে না। তাই তারা দোকান দিয়েছেন।
“আমরা সব সময়ই এখানে বসি। পুলিশ আসলে সইরা যাই। এইখানে ফাঁকা জায়গা, গাড়ি আসে না। আর এখানে সারা বছর হকাররা বসে।”
ওই শরবতের দোকানের পাশেই সড়ক জুড়ে রাখা ছিল কয়েকটি মোটরসাইকেল।
এভাবে সড়ক জুড়ে বাইক রাখার কারণ জানতে চাইলে শাকিল হাসান নামে একজন বলেন, “আমাদের বাইক তো ছোট। এর জন্য যানজট হওয়ার কথা না। গাড়ি আসলে আমরা দ্রুত সরে যেতে পারি।”
তবে ওই বাইকগুলো রাখার কারণেও অন্যান্য যানবাহন চলতে বাধা পাচ্ছিল।
যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই
গত বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লাইওভারের চাঁনখারপুল প্রান্ত থেকে শনির আখড়া পর্যন্ত লেনটি ফাঁকা থাকায় মাত্র ১০ মিনিটেই পৌঁছানো গেছে। কিন্তু সে সময় দেখা গেছে, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান ও চাঁনখারপুলগামী পথে যানজট। যানজটে আটকে থাকা গাড়ির সারি যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলে গেছে।
সেদিন বেলা ১টা ২৭ মিনিটে কাজলা প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ফ্লাইওভারে উঠে চাঁনখারপুল প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছানো গেছে ২টা ১০ মিনিট, অর্থাৎ ৪৩ মিনিট সময় লেগেছে। মোটরসাইকেল অন্যান্য যানবাহনের ফাঁকফোকর গলে চলতে পারে, তাই সময় লাগে কম। কিন্তু বাস, ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
শনির আখড়ার বাসিন্দা তারেক হাসান বলেন, “আমাদের এলাকার বাসিন্দারা মনে হয় দোজখের মধ্যে আছি। সকালে শহরের দিকে ঢুকতে গেলে যানবাহন সব স্থবির হয়ে থাকে। আবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার গাড়ি পাওয়া যায় না। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে।”
জুরাইনের বাসিন্দা মনজুরুল হাসান রাজিব বলেন, প্রায় ৪০টি জেলার সব ধরনের গাড়ি এই ফ্লাইওভার দিয়ে আসে-যায়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এই ফ্লাইওভার আতঙ্ক নামে পরিচিত হয়েছে।
“এখন এই ফ্লাইওভারে যাতায়াত বিভীষিকাময়, মহা আতঙ্ক, আপদের নাম। ১৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে এখন ৩ ঘণ্টা লেগে যায়। নিচ দিয়ে চলাচলের উপযোগী রাস্তাও নেই। ফলে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল-কলেজ, অফিসগামী যাত্রীদের প্রতিদিন অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”
যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের কাছে ফ্লাইওভারের ওপরে বোতলজাত পানি বিক্রি করছিলেন আবদুল হক নামে একজন হকার।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই ফ্লাইওভারে যানজট শুরু হয়েছে। তবে গত দুই মাসে তা তীব্র আকার নিয়েছে। যানজটে তিনি পানি বিক্রি করতে এদিকে চলে আসেন।
“প্রতিদিন সকাল থেকেই গুলিস্তানের দিক থেকে যানজট শুরু হয়। দুপুরে পর তা আরও বাড়ে। রাত পর্যন্ত এই যানজট থাকে। আমরা এদিকে থাকি না। গোলাপবাগের দিকে থাকি, জ্যাম হইলে ফ্লাইওভারে উঠি।”
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, অনুমোদনহীন বাসের কারণে গুলিস্তান ও আশপাশের সড়কগুলোয় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। অতীতে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় রুট পারমিট না থাকলেও এসব বাস গুলিস্তান এলাকায় চলে এসেছে। এলাকা থেকে এসব বাস সরানোর জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলছেন তারা।
“আমরা ট্রাফিক বিভাগকে বলেছি এ বিষয়ে তাদের আমরা সহযোগিতা করব। এসব বাস যেখান থেকে ছাড়ার কথা সেখান থেকেই ছাড়তে হবে। সায়েদাবাদ টার্মিনালে যেতে মালিকরা টালবাহানা করে, কিন্তু এটা আর চলতে দেওয়া হবে না। ট্রাফিক পুলিশ সপ্তাহের পরই আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করব।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক, ওয়ারি অঞ্চল) মো. আনোয়ার সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা প্রতিনিয়ত মামলা দিচ্ছেন, হকার উচ্ছেদ করছেন।
“আমরা গুলিস্তান ফ্লাইওভার থেকে নামলেই বাসগুলোকে নিয়মিত মামলা দিই। আজও অন্তত ৩০টি মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা নানা অজুহাতে এখানে চলে আসছে। স্থায়ী সমাধানে বিষয়টি নিয়ে উপরের পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
“আর প্রতিদিন একাধিকবার হকার উচ্ছেদ করি। আমরা একদিকে তুলে দিয়ে আসি, তারা আবার বসে যায়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সম্প্রতি নিমতলীতে ফ্লাইওভার নামার পথ ওয়ানওয়ে করে দিয়েছি। এতে কিছুটা সুফল পাওয়া গেছে। যানজট কমেছে।”
ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাকে একাধিকবার কল দিলেও ধরেননি।