শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের দুর্নীতির অভিযোগও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
Published : 29 Dec 2024, 07:04 PM
দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত মঙ্গলবার অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কমিশন ৫ জনের অনুসন্ধান দল গঠন করেছে।
দুদকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “বিধি মোতাবেক অভিযোগটির অনুসন্ধান শেষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।”
তারিক আহমেদ সিদ্দিক ছাড়াও আরো যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা হলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, সাবেক যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, মাহবুব আনাম ও অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার লুৎফুল্লাহ মাজেদ।
তাদের অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব বর্তেছে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের কাঁধে। তাকে সহযোগীতা করবেন দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর।
এছাড়াও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের আরেকটি অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
রোববার দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের ৩টি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্য, দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি সংযোজন, সিলিংয়ের কাজে অনিয়ম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয়সহ সিন্ডিকেট করে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।