জানাজা হবে বাংলা একাডেমি ও জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে।
Published : 13 Dec 2024, 07:34 PM
কবি হেলাল হাফিজের শেষ শয্যা হবে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
শনিবার সমাহিত করার আগে সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা হবে এই অকৃতদার কবির।
কবির বড় ভাই দুলাল হাফিজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাতে মরদেহ রাখা হবে হিমঘরে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাকে ফোন করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “উনার সঙ্গে আলাপ করে আমরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
হেলাল হাফিজকে স্মরণ করে তার ভাই বলেন, “সে তো কবিতার মানুষ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। প্রেস ক্লাবের পাশেই একটি হোটেল কক্ষে একাকী থাকত।
“আমরা তাকে বাসায় নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সে থাকেনি। অসুস্থ হয়েছিল, তখন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। সুস্থ হয়ে আবার হোটেলেই থাকা শুরু করে।”
কোভিড পরবর্তী সময় থেকে হেলাল হাফিজ শাহবাগের সুপার হোস্টেলে থাকতেন জানিয়ে দুলাল বলেন, “এখানেও সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পরে তাকে সবাই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু সে হোস্টেলেই থাকত।”
হেলাল হাফিজের সঙ্গে একই হোস্টেলের অন্য একটি কক্ষের বাসিন্দা রূপম রোদ্দর। গত তিন বছর ধরে তিনিই হেলাল হাফিজের দেখভাল করতেন।
রূপম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি তো বিগত কয়েক বছর ধরেই একাকিত্বে ভুগছিলেন। শারীরিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। হাঁটাচলা ঠিকমত করতে পারতেন না।
“আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেছি। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইতেন না। দুপুরের দিকে তিনি বাথরুমে পড়ে যান। পরে হোস্টেলের লোকজন উনাকে হাসপাতালে নেন; চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে কবিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার আগেই তার মৃত্যু হয়।”