“দুলাল মাতবর নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার বুকে গুলি লেগেছে,” বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Published : 18 Jul 2024, 02:47 PM
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংষর্ঘের সময় গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
দুলাল মাতবর নামের পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসের চালক। বৃহস্পতিবার সকালে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হলে তাকে রামপুরা বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ফরাজী হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রুবেল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুলাল মাতবর নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার বুকে গুলি লেগেছে।
“আমরা উনার নাম ঠিকানা লিখে রেখেছি। উনি সম্ভবত পথচারী ছিলেন। ঘটনা শুনে উনার ছেলেরা এসে লাশ নিয়ে গেছেন। দুলাল মাতবরের বাড়ি পটুয়াখালীতে।”
এ ঘটনায় আহত আরো অনেককে ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুবেল।
তিনি বলেন, “আমাদের এখানে আহত হয়ে অনেকেই আসছেন। এর মধ্যে স্টুডেন্ড আছে, পথচারী আছে। আমরা সবাইকে ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়। সে কারণে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
“আমাদের এটা প্রাইভেট হাসপাতাল। এখান থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম নেই। আর ওই সময় এখানে এত মানুষ আসছিল, আমরা তাদের সেবা দিতেই ব্যস্ত ছিলাম। খবর পেয়ে উনার আত্মীয়স্বজন এসেছেন। তারা মরদেহ নিয়ে গেছেন।”
হাসপাতাল থেকে ফোন নম্বর নিয়ে দুলাল মাতবরের ছেলে সোহাগের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ডেডবডি ফরাজি হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছি। এখন আমরা বাড়ির দিকে যাচ্ছি।”
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন “এখনও না।” এটুকু বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।
এ কর্মসূচির কারণে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অংশে সড়ক অবরোধ আর সংঘর্ষের খবর আসছে। গণপরিবহনের সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ।