বেড়েছে চাহিদা, দুই-তিন মিনিটেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ট্রেনের টিকেট

৩০ মার্চ পর্যন্ত টিকেট বিক্রি চলবে, সেদিন বিক্রি হবে ৯ এপ্রিলের টিকেট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2024, 05:19 AM
Updated : 29 March 2024, 05:19 AM

রোজার ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরুর ষষ্ঠ দিনে টিকেটের চাহিদা আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেড়েছে।

শুক্রবার প্রথম দুই মিনিটের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় সব ট্রেনের টিকেট।

আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের সম্ভাব্য দিন হিসাব করে ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে অনুযায়ী গত রোববার ৩ এপ্রিল ট্রেনযাত্রার টিকেট অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। ৩০ মার্চ পর্যন্ত টিকেট বিক্রি চলবে, সেদিন বিক্রি হবে ৯ এপ্রিলের টিকেট।

বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হবে।

শুক্রবার ৮ এপ্রিলের আগাম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। সকালে দেওয়া হয় পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকেট। দুপুর দুইটায় পুর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকেট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

প্রথম দিন রোববার টিকেটের চাহিদা কিছুটা কম ছিল। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে। সোম, মঙ্গল এবং বুধবার টিকেট বিক্রি হয়ে যায় আধা ঘণ্টারও আগে। বৃহস্পতিবার টিকেট বিক্রি শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিটেই ট্রেনের টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল আটটায় অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরুর আগে রাজশাহী স্টেশনের জন্য ধুমকেতু এক্সপ্রেসে ৩৫৪টি, পদ্মা, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ৬৩৬টি, সিল্কিসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৮৮টি, মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে ৭০টি এবং পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৬০টি আসন ছিল।

তবে বিক্রি শুরুর পর বেলা ৮টা ২ মিনিটে দেখা যায় এসব ট্রেনে রাজশাহীর সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

সকাল ৮টা ৩ মিনিটে দিনাজপুর স্টেশনের জন্য থাকা ‘অ্যাভেইলেবল টিকেটের’ ঘর শুন্য দেখাচ্ছিল। কয়েকটি টিকেট আছে দেখালেও সেগুলো কিনতে গেলে বিক্রি দেখাচ্ছিল। বিক্রি শুরুর আগে এই স্টেশনের জন্য একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৩১টি, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৬২টি, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ২১৪টি আসন ছিল।

পার্বতীপুর স্টেশনের জন্য নীলসাগর এক্সপ্রেসের ৯০টি, একতা এক্সপ্রেসের ১০৩টি, চিলাহাটি এক্সপ্রেসের ১৫৮টি, দ্রুতযান এক্সপ্রেসের ৯৫টি, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ৭৭টি, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ১৪২টি টিকেট ছিল বিক্রি শুরুর আগে। বিক্রি শুরুর প্রথম ৩ মিনিটের মধ্যে এসব ট্রেনের সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।

রংপুর স্টেশনের জন্য রংপুর এক্সপ্রেসের ১১২টি এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ১১৪টি টিকেট ছিল শুক্রবার সকালে। ৮টা ৪ মিনিটের মধ্যে ওই টিকেটগুলো বিক্রি হয়ে যায়। ওই সময় পর্যন্ত ওই দুটি ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনের জন্য বরাদ্দ টিকেটও বিক্রি হয়ে গেছে দেখাচ্ছিল।

খুলনা স্টেশনের জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০৬টি এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮২টি টিকেট ছিল। বিক্রি শুরুর পর বেলা ৮টা ৫ মিনিটে সবগুলো টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।

দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য রুটের ট্রেনগুলোর টিকেটও বিক্রি শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিট বা তার আগেই শেষ হয়ে যায়।

গত ১৩ মার্চ রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী অগ্রিম টিকেট বিক্রির সূচি প্রকাশ করেন।

সূচি অনুযায়ী ২৫ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৪ এপ্রিলের টিকেট, ২৬ মার্চ পাওয়া গেছে ৫ এপ্রিলের টিকেট, ২৭ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৬ এপ্রিলের, ২৮ মার্চ পাওয়া গেছে ৭ এপ্রিলের টিকেট।

২৯ মার্চ বিক্রি হচ্ছে ৮ এপ্রিলের টিকেট আর ৩০ মার্চ পাওয়া যাবে ৯ এপ্রিলের টিকেট।

এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকেট বিক্রি হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে।

ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকেট মিলবে।

এবার ঈদের আগে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকেট বিক্রি হবে।

ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।