এ বছরের শেষের দিকে মেট্রোরেলের নতুন এ লাইনের নির্মাণকাজ শুরুর আশা প্রকল্প পরিচালকের।
Published : 20 Feb 2025, 12:58 AM
পূর্বাচলের পথে মেট্রোরেলের নতুন লাইন নির্মাণের সময় রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কয়েক জায়গায় ভাঙতে হবে; এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশে একটি করে লেন বন্ধও রাখতে হবে।
তবে দুই পাশে তিনটি করে লেন খোলা থাকায় যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।
বুধবার এমআরটি-১ এর প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এমআরটি-১ এর বাকি কাজ শুরুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ মোটামুটি শেষ। সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে আগামী অর্থবছরের শুরুতে।
”মেট্রোরেলের মূল অ্যালাইমেন্টের নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষে এ বছরের শেষের দিকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে দুটি অংশ- পাতাল মেট্রোরেল ও উড়াল মেট্রোরেল। এরমধ্যে কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত অংশটি উড়ালপথ হবে।
উড়াল অংশ নির্মাণের সময় পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত না করে সড়কের ’মিডিয়ানের’ ওপর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ অংশে এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক বিভাজক বরাবর ৩০ মিটার এবং ৪৫ মিটার দূরত্বে পিয়ার হবে। সেসব পিয়ারের ওপর বসানো হবে ভায়াডাক্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া মেট্রোরেলের এলিভেটেড স্টেশনগুলো সড়কে আড়াআড়ি বরাবর তিনটি করে কলামের উপর স্থাপন করা হবে। এখানে দুপাশের দুটো কলাম এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশে গ্রিনবেল্ট বা সবুজ ভূমির উপর থাকবে আর মাঝখানের কলামটি সড়ক বিভাজকের উপর নির্মাণ করা হবে। এ কারণে স্টেশনগুলো এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কের কোনো জায়গা দখল করবে না।
এমআরটি-১ এর প্রকল্প পরিচালক বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ইন্টারসেকশন রয়েছে। এগুলোর নিচে আছে পানির রিজার্ভার। এ কারণে শুষ্ক মৌসুমে রিজার্ভারের ছাদ (যা মূলত গাড়ি চলার সড়ক পেভমেন্ট) কেটে পাইলের কাজ করা হবে। এরপর ছাদের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেট্রোরেল থেকে মেরামত করে দেওয়া হবে।
এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচটি আন্ডারপাসের ওপর কোনো পিয়ার থাকবে না। এ কারণে এসব আন্ডারপাস ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পিয়ার ও ভায়াডাক্ট নির্মাণের সময় নিরাপত্তার স্বার্থে সড়ক বিভাজকের দুই পাশে তিন মিটার করে জায়গা নেওয়া হবে। এতে দুপাশে একটি করে লেন বন্ধ থাকবে। তবে নির্মাণকাজ শেষে ওই লেন আবার খুলে দেওয়া হবে।
ঢাকার বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার এবং নতুন বাজার থেকে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-১।
এরমধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১২টি পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ পর্যন্ত দুটি পাতাল ও সাতটি উড়াল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ হবে।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। এরমধ্যে পিতলগঞ্জে ডিপোর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ১ মার্চ। ওই অংশের কাজের অগ্রগতি ৮৯ শতাংশ।
প্রকল্পের বাকি অংশের কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে প্রকল্প প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
শুরু হচ্ছে নতুন মেট্রোরেলের কাজ, বিমানবন্দর সড়কে বাড়বে যানজট