সরকার বিচার বিভাগ স্মার্ট করছে, মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

“এখন বিচার ব্যবস্থা অনেক ফাস্ট হয়েছে। মামলা জট কমেছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি”, বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2024, 10:21 AM
Updated : 24 Feb 2024, 10:21 AM

নবম সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষিত মানুষের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগ সরকার রক্ষা করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “এখন বিচার ব্যবস্থা অনেক ফাস্ট হয়েছে। মামলা জট কমেছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি।

“আমি চাই, আমার দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। আমাদের মত যেন বিচারহীনতায় তাদের কষ্ট পেতে না হয়। তারা যেন ন্যায়বিচার পায় এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব যেন চিরস্থায়ী হয়।”

বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার “সাউথ এশিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্টস ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি: লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, “মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ, শক্তিশালী সংসদ ও প্রশাসন একটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

“মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে।”

১৯৯৬ সালের আগে ক্ষমতা ‘ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ক্ষমতা দেশের মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখন মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে সরকার স্মার্ট করার চেষ্টা করছে।

“স্বাধীনতার আগে জুডিশিয়ারিতে কোনো নারী অংশগ্রহণ করতে পারত না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন। সুপ্রিম কোর্টে যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যয় বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি করে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আবার ২০০১ সালে বিএনপি কেড়ে নেয়।”

তিনি বলেন, “আমাদের সংবিধানে তো বিচার পাওয়ার অধিকার সকলেরই আছে। কিন্তু আমরা কি অপরাধ করেছিলাম। ১৯৮১ সালের আগে ছয় বছর আমাকে প্রবাসে থাকতে হয়। কারণ তখনকার মিলিটারি ডিকটেটর আমাকে আসতে দেবে না দেশে। রেহানাকেও আসতে দেবে না এবং তার পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি।

“সে অবস্থায় আমাকে যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার অবর্তমানে নির্বাচিত করা হয়, একরকম জোর করে, জনগণের সমর্থন নিয়েই আমি দেশে ফিরে আসি। আমি যখন আমার বাবা-মা, ভাইয়ের হত্যার বিচারের জন্য মামলা করতে যাই, সেখানে মামলা করা যাবে না। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।”

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।