জুলাই আন্দোলনে আহতদের জন্য ঢাকার ৫ হাসপাতালে গিয়ে সেবা দিচ্ছে ইসি।
Published : 22 Jan 2025, 03:19 PM
সরকার পতনের আন্দোলনে আহত হয়ে যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরকে হাসপাতালেই বিভিন্ন সেবা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬১৭ নম্বর কেবিনে গিয়ে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে ভোটার অন্তর্ভুক্তি, সংশোধনসহ নানা সেবা কার্যক্রম চলেছে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সেবা মিলবে বার্ন ইনস্টিটিউটে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনাইডি শাখার আইডিয়া টু প্রজেক্টের সহকারী প্রোগ্রামার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ১৩ জন সেবা নিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা মেডিকেল হসপিটাল থেকে জুলাই বিপ্লবে আহতদের মধ্যে দুজন নতুন এনআইডির জন্য আবেদন করেছেন, তিনজন সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, আটজন স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন।”
তাদের একজন আব্দুল্লাহ নারায়নগঞ্জের শিপু মার্কেট এলাকায় ফার্মেসিতে কাজ করতেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছিলাম। রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করেছিল। পপুলার হাসপাতালে অপারেশনের পর এখন ঢাকা মেডিকেলে অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসা নিচ্ছি।
“আমার ভোটার আইডি কার্ডে বাবার নাম ভুল ছিল সেটা ঠিক করিয়েছি আজ।”
ইসির সেবাগ্রহণকারী আরেকজন ইব্রাহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০ জুলাই গুলি লেগেছে। এতে খাদ্যনালী ছিদ্র হয়ে গেছে। কিছুদিন পর অপারেশন হবে।
“নির্বাচন কমিশনের হাসপাতালে এসে এনআইডি কার্ডের সংশোধন করায় আমার খুবই উপকার হয়েছে। নইলে অসুস্থ অবস্থায় কাজ করাতে কষ্ট হয়ে যেত।"
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলসহ ঢাকার তিনটি হাসপাতালে একই ধরনের সেবা দিয়েছে ইসি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী, পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয় সোমবার, যা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের সুযোগ থাকবে এ হালনাগাদে।
নিবন্ধনের জন্য এবার ভোটারযোগ্য প্রায় ১৯ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হতে পারে বলে মনে করছে ইসি।