প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনাররাও দুই সভায় উপস্থিত থাকবেন।
Published : 23 Oct 2023, 12:49 AM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে আগামী ৩০ অক্টোবর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সপাল স্টাফ অফিসার; পুলিশ মহাপরিদর্শক; র্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট, গার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক, এসবির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনাররাও ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন।
রোববার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে করণীয় নির্ধারণে ৩০ অক্টোবর বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে এই সভা হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হবে ভোট।
৩০ অক্টোবর আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের পর ১ নভেম্বর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসবে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ওইদিন বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকটি হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিবকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য ‘করণীয় নির্ধারণ ও সমন্বয় সহজীকরণের লক্ষ্যে’ ওই সভায় নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত থাকবেন।
যা আলোচনা হবে–
· ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা মেরামত ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কার।
· পার্বত্য/দূর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনী মালামাল পরিবহণ এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্র আনা-নেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ।
· নির্বাচনী প্রচার, উদ্বুদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ।
· দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা প্রদান।
· পোস্টাল ব্যালটে ভোটপ্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা।
· নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ।
· ঋণ খেলাপী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সঙ্কলন ও প্রদান বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
· নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ‘শোডাউন’ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।
· বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা।
· দৈনন্দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা।
· নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যমান নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া।
পুরনো খবর