ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীর দুর্ব্যবহারের অভিযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
এ ধরনের ঘটনায় বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে সংগঠনের সভাপতি এ.এইচ.এম.হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ও মহাসচিব মো. মজিবুর রহমান বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে তারা বলেন, “২ জানুয়ারি কিছু আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপ ও বিচারকের সাথে যে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেছে তা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।”
বিবৃতিতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের ‘ঔদ্ধত্বপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়’ সে জন্য এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে তার বিচার আদালতে হবে।
তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ এবং অন্যান্য বিচারকরা অভিযোগ করেছেন। একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন।“
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন আইনজীবী নেতা দলবল নিয়ে গিয়ে এজলাসে বসা একজন বিচারককে অপদস্থ করা এবং তাকে গালাগাল করেছেন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির তিন সদস্যকে হাই কোর্ট সশরীরে তলব করেছে। এ নিয়ে এখন জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
আগামী ১৭ জানুয়ারি হাই কোর্টে তলব পাওয়া তিন আইনজীবী হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানভীর ভূঁইয়া, সমিতির সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী এবং আইনজীবী জুবায়ের ইসলাম।
আরও পড়ুন: