প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি একটি সংগঠনের।
Published : 25 Nov 2024, 10:53 PM
পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের হাতে ‘খোলা চিঠিটি‘ পৌঁছে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই সদস্য দীপায়ন খীসা ও মুর্শিদা আক্তার ডেইজী।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের’ সদস্য মুর্শিদা আক্তার ডেইজী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিঠি পৌঁছে দেওয়া এবং দাবির বিষয়ে তুলে ধরেন।
চিঠিতে বলা হয়, ”নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন সরকারের অভিযাত্রায় আমরা ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার নতুন বাঁকে এসে দাঁড়িয়ে আছি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছর ধরে চুক্তির মূল উপাদানগুলি অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি আদিবাসি জনগণ এবং সারাদেশের নাগরিকদের এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।
”এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের সকল আদিবাসীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখা এবং একই সাথে দেশের জাতীয় ঐক্যের জন্য অপরিহার্য।”
৭ দফা দাবি
>> এই চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমাভিত্তিক একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকরী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
>> অপারেশন উত্তরণ প্রত্যাহারপূর্বক সামরিক তত্ত্বাবধান স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।
>> পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং তিনটি জেলা পরিষদকে চুক্তি অনুসারে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান করা।
>> ভারত থেকে আগত পাহাড়ী শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে কার্যকর করা।
>> পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলের অনন্য সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্যকে সম্মানপূর্বক টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা।
>> সমতলভূমির জেলাগুলোর প্রচলিত সব স্থানীয় সরকারে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ আসন সংরক্ষণ এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া।
>> সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন প্রতিষ্ঠা।