“উন্নতি কতটা হল, তা জানতে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।"
Published : 06 Mar 2025, 10:19 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ‘বড় ধরনের স্ট্রোক’ করার পর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে থাকলে তাকে লাইফে নেওয়া হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।
রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা যতটুকু জেনেছি, উনার একটা হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়েছে। উনার জিপিএস অনেক কমে গিয়েছিল। এজন্য উনাকে ইনটিউবেশন করা হয়েছে।”
ওই চিকিৎসক বলেন, “এটাতে আস্তে আস্তে উন্নতি ঘটে। তিনি মাত্রই ভর্তি হয়েছেন, উন্নতি কতটা হলো, তা জানতে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।"
এর আগে সাকরিন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি ইফতার কিনতে ঢাকা ক্লাবে গিয়েছিলেন। বেজমেন্টে আরেকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান। মাথায় ব্যথা পান।
“সঙ্গে সঙ্গে উনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রাথমিক পরীক্ষার পর ডাক্তাররা জানিয়েছেন তিনি স্ট্রোক করেছেন।”
সাকরিন বলেন, “অবস্থা বেশি ভালো নয়।”
হাসপাতালটির নিউরো সায়েন্স ইউনিটে ভর্তি আছেন ৭২ বছর বয়সী আরেফিন সিদ্দিক।
ডায়েবেটিক সমিতির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কে আজাদ বলেন, “আমি লাস্ট কথা বলে জেনেছি, তার একটা বড় স্ট্রোক হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।“
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আরেফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি।
এর প্রায় সাড়ে চার বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়। নির্বাচনের পর ২০১৩ সালের ২৫ অগাস্ট প্যানেলে থাকা তিনজনের মধ্যে আরেফিন সিদ্দিককে দ্বিতীয়বারের মত উপাচার্যের দায়িত্ব দেয় সরকার।
১৯৫৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম নেওয়া আরেফিন সিদ্দিক ১৯৬৯ সালে এসএসসি এবং ১৯৭১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
১৯৭৩ সালে বিএ এবং ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এমএ করেন তিনি।
১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেওয়ার আগে বুয়েটের পিআর ছিলেন আরেফিন সিদ্দিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের নীল দলের নেতা আরেফিন সিদ্দিক দুই মেয়াদে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সদস্যও ছিলেন তিনি।
উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সম্প্রচার বিষয়ক বেশ কিছু জাতীয় কমিটিতেও ছিলেন তিনি।