“পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরসমূহের অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, বলেন তিনি।
Published : 11 Aug 2024, 08:14 PM
আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই বিভিন্ন প্রকাশ দূষণ রোধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মুখে।
রোববার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তার চিন্তায় অগ্রাধিকার কাজের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনে সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে তিন দিন পর ৮ অগাস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকারে পরিবেশ, বন ও জলবায় মন্ত্রণালয় সামলানোর দায়িত্ব পয়েছেন পরিবেশ অধিকারকর্মী ও আইনবিদ রিজওয়ানা হাসান।
ঢাকাসহ সারা দেশে পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনাশী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার রিজওয়ানা হাসান রোববার মন্ত্রণালয়ে প্রথম অফিস করেন।
সেখানে মতবিনিময় সভায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ‘মোটিভেশনাল’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
অগ্রাধিকার কাজের বিষয়ে ধারণা দিয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘ম্যান্ডেটেড’ কর্মকাণ্ড চলমান রেখে বর্তমান জনপ্রত্যাশার আলোকে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, গাড়ির হর্নজনিত শব্দদূষণ বন্ধ, নদীদূষণ রোধে উদ্যোগ গ্রহণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উন্নয়ন, পাহাড় রক্ষা, বন সংরক্ষণ, জলাশয় ভরাট রোধ, উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে, বলেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের কাজে সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার আশ্বাস দিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজে পরিবেশসংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থা, সংগঠন, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, প্রাইভেট সেক্টর, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ অন্যান্যদের সঙ্গে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করা হবে।
“পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরসমূহের অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয় পরিবেশ কমিটির সভা আহ্বান করা হবে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তসমূহ নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হবে, বলেন তিনি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে পৌঁছালে রিজওয়ানা হাসানকে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাজত জানান।