কর্ণফুলীর জমি ইজারার বিজ্ঞপ্তি: বন্দর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

একইসঙ্গে পত্রিকায় প্রকাশিত গত ৭ নভেম্বরের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।

আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জায়গা ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

একইসঙ্গে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত গত ৭ নভেম্বরের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ– এইচআরপিবি’র একটি আবেদনে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এইচআরপিবি’র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে এইচআরপিবি জনস্বার্থে ২০১০ সালে একটি রিট আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৬ সালে আদালত কর্ণফুলী নদীর সীমানা জরিপ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়ে রায় দেয়।

“ওই রায় ও নির্দেশনা অমান্য করে গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার/স্টেট দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় একটি দরপত্র আহ্বান করেন। ওই দরপত্র বলা হয়, ফিরিঙ্গি বাজার মৌজার আর এস ৬০১ দাগ ১০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।”

এই আইনজীবী বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি এইচআরপিবির নজরে এলে ২৫ নভেম্বর তিনি (মনজিল মোরসেদ) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে নোটিস পাঠান। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এইচআরপিবি সোমবার আদালত অবমাননার মামলা করেন।

শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার/স্টেট মো. শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানাতে রুল জারি করা হয়।

শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, এভাবে ভরাট করতে থাকলে কর্ণফুলী নদীর অস্তিত্ব থাকবে না।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া।

পুরনো খবর

আদালতের আদেশ অমান্য করে কর্ণফুলীর জমি ইজারার বিজ্ঞপ্তি, কারণ দর্শ