ওষুধের বাড়তি দামে হিমশিম: একলাফে এতটা উল্লম্ফন কতটা যৌক্তিক?

একেবারে এতটা দর বাড়ানো নিয়ে ক্রেতাদের যেমন অনেক প্রশ্ন; তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতির এক শিক্ষকও এমন দাম নির্ধারণের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

মরিয়ম সুলতানাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2022, 07:49 PM
Updated : 11 Sept 2022, 07:49 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে কিছু দিন হল একটি বেসরকারি ব্যাংকে শিক্ষানবীশ কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করছেন জেরিন আফরিন। বাবা-মা দু’জনেই অসুস্থ থাকায় তার পরিবারের মাসিক ওষুধের খরচ অন্তত ১২ হাজার টাকা।

সবকিছুর পাশাপাশি ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ বছর আগে অবসরে যাওয়া তার পিতার পক্ষে তা বহন করা কষ্টকর। এর মধ্যে এক ধাক্কায় ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া তার পরিবারের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাড়া মহল্লার ওষুধের দোকানেও কিছুক্ষণ দাঁড়ালে বেশি লাগে এমন কিছু ওষুধের অস্বাভাবিক দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের প্রশ্নে জর্জরিত হতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। এক লাফে এতটা দর বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের।

ঢাকার ফার্মগেইটে গত সপ্তাহে ওষুধ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “বাচ্চার জন্য সিরাপ কিনতে এলাম। এই নাপা সিরাপটার দাম এখন ৩৫ টাকা। সবকিছুর দাম এভাবে বাড়লে কিভাবে কি?”

পাশের শিফা ফার্মার শিপলু নামের এক বিক্রেতা জানান, আগে নাপার একই পরিমাণ সিরাপের দাম ছিল ২০ টাকা। কিন্তু এটার দাম বেড়ে যে ৩৫ টাকা হয়েছে, তা অনেকেই জানে না।

“এতে অনেকে যেমন অবাক হয়, কেউ কেউ ঝামেলাও করে। তখন গায়ের দাম দেখাইতে হয়,” যোগ করেন তিনি।

প্যারাসিটামলের ৬০ মিলিলিটার সিরাপে দর বাড়ানোর হার ৭৫ শতাংশ।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ১৯টি জেনেরিকের ৫৩টি পদের ওষুধের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে। অনেকগুলোর দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে।

একেবারে এতটা দর বাড়ানো নিয়ে ক্রেতাদের যেমন অনেক প্রশ্ন; তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতির এক শিক্ষকও এমন দাম নির্ধারণের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

অপরদিকে ঔষধ প্রশাসন ও ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তারা কাঁচামাল ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন এসব ওষুধের দাম না বাড়ানোকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেন।

কেন এমন মূল্যবৃদ্ধি?

অত্যাবশ্যকীয় তালিকাভুক্ত ১১৭টি জেনেরিকের ওষুধের দাম নির্ধারণ করে সরকার। ‘প্রাইস ফিক্সেশন পলিসি- ১৯৯২’ অনুযায়ী প্রতি বছর এসব ওষুধের মূল্য সমন্বয় করার কথা রয়েছে। তবে ১৯৯২ সালে ওই নীতিমালা হওয়ার পর ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৫ সালে তিন দফায় এগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক পদের মূল্য পুর্ননির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত সাত বছরে মূল্য পুর্ননির্ধারণ না হওয়ায় দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করে। এরপর অধিদপ্তরের কারিগরি উপ কমিটি এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি গত জুনে আগের ছয় মাসের আমদানি করা কাঁচামাল ও মোড়কসামগ্রীর গড় মূল্যের উপর ভিত্তি করে ১৯ জেনরিকের ৫৩টি পদের ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে; যার মধ্যে প্যারাসিটামলও রয়েছে।

দাম বেড়েছে ১৯ জেনেরিকের

প্যারাসিটামল, মেট্রোনাইডেজল, এমক্সিসিলিন বিপি, জাইলোমেটাজোলিন এইচসিআই, প্রোক্লরপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফিউরোসেমাইড, ফেনোবারবিটাল, ওআরএস, লিডোসাইন, ফলিক অ্যাসিড, ক্লোরফেনিরামিন, বেঞ্জামিন বেনজাইলপেনিসিলিন, অ্যাসপিরিন, ফেনোজা মিথাইল পেনিসিলিন, প্রোমিথাযাইন, নরজেস্টেল এবং ফেরাস ফিউমারেট।

প্যারাসিটামল সিরাপের দাম শতকরা ৬১ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ জেনেরিকের ট্যাবলেটের দামও এমন হারে বাড়ানো হয়েছে। মেট্রোনাইডেজলকে বলা হয় ডায়রিয়ার কার্যকর এক ওষুধ। এটির পাতাপ্রতি ট্যাবলেটের খুচরা মূল্যও বেড়েছে ৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত।

আবার এমোক্সিসিলিন বিপি এর একেক ধরনের দর বেড়েছে একেক রকম। এরমধ্যে এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইনজেকশন কিনতে হচ্ছে এখন ৫৫ টাকায়, যার পূর্বমূল্য ২৭ টাকা; দ্বিগুণের চেয়েও একটাকা বেশি বেড়েছে।

দাম বাড়ানোর বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, মূল্য পুর্ননির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধু কাঁচামাল ও মোড়কসামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়াকে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু ‘মার্কআপ’ (উৎপাদন ব্যয়, অন্যান্য খাতের ব্যয়, বিতরণ ব্যয়, প্রস্তুতকারক ও খুচরা বিক্রেতাদের মুনাফা) এ কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

ডলারের ধাক্কা ওষুধে

কোভিড মহামারীর সময় কাঁচামালের দাম বাড়লেও দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে এসব ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি জানিয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় মূল্য না বাড়িয়ে উপায় ছিল না। কোম্পানিগুলো লোকসানের মুখে পড়ত।

“কোম্পানি যদি লাভ না করে, সে তো বিজনেস করতে চাইবে না। এখন প্যারাসিটামল যদি কেউ তৈরি না করে, তখন সরকার কি করবে?”

ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব বাজারে ওষুধ পাওয়া নিশ্চিত করা উল্লেখ করে তিনি এক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন, “যখন কোভিড শুরু হয়, তখন আমাদের দেশে উৎপাদিত প্যারাসিটামল কাঁচামালের মূল্য ছিল ৪৮০ টাকা। পরবর্তীতে কোভিডের সময় ৭৫০ করা হল। কিন্তু দেখা গেল তাও পারা যাচ্ছে না। পরে ৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়, যেটা এখনও সাস্টেইন করছে।

“এ টাকাতেও আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় দিতে পারছে।“

পাশাপাশি প্যাকেজিং উপকরণের (ব্লিস্টার, বোতল, এ্যাম্পুল প্রভৃতি) দাম বেড়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

কোম্পানিগুলো কী বলছে?

কোনো ওষুধের দাম দ্বিগুণ করা হলেও কোম্পানিগুলোর দাবি তারা যে দাম বাড়িয়েছে তা ‘খুবই অল্প’। কারণ যখন দাম বাড়ানো হয় তখন প্রতি ডলার ৯৫ টাকা ধরে হিসাব করা হয়েছিল। এখন তা আরও বেড়েছে।

ডলারের দর ৮৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকা হওয়ায় আমদানি ব্যয় ২৯ শতাংশ বেড়েছে দাবি করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদীর জানান, পাশাপাশি গ্যাস সংকটে ডিজেলে কারখানা চালাতে গিয়ে জ্বালানি ব্যয় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে এসব কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে অনেক।

‘অপ্রয়োজনীয়’ বিপণন ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা আবার আরেকটা প্রসঙ্গ নিয়া আসেন, যেটাকে বলে হার্ড বল মেকানিজম ইন নেগোসিয়েশন। আপনারা আমাদের খোঁচা দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন, মার্কেটিং এ আপনারা যে খরচ করেন, তা কত পার্সেন্ট।

“এইটা এইরকম বলা যে আপনারা বাসায় বসে থাকবেন, ওষুধ তৈরি করবেন, আপনাদের বাসা থেকে এসে নিয়ে যাবে। তা তো হয় না কোনোদিন। আপনি যদি প্রমোশন না করেন, আপনার প্রডাক্টও কেউ লিখবে না, আপনার প্রডাক্টও চলবে না।“

এমন প্রচারণা দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার অপকৌশল বলে তিনি মন্তব্য করেন। দেশি কোম্পানিগুলোর মাঝে প্রতিযোগিতা না থাকলে বিদেশি কোম্পানি চলে আসার আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা বলেন, “আমরা রিপোর্ট দেখি খালি প্রাইস বাড়া নিয়ে। কিন্তু লাস্ট কয়েক বছরে যে কত প্রডাক্টের দাম কমেছে, এইটা নিয়ে কিন্তু কেউ কখনও রিপোর্ট করে না, দ্যাটস দ্যা আদার সাইড অব দ্যা কয়েন।“

তার দাবি গত দুই বছরে ১৯-২০টা ওষুধের দাম তারা কমিয়েছেন। ক্রেতাদের ‘যৌক্তিক’ দামে ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ওষুধ দিতে তাদের চেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এজন্য কিন্তু বাংলাদেশের ওষুধকে বলা হয় বিশ্বের মাঝে চিপেস্ট। যদিও আমরা কাঁচামাল ইমপোর্ট করে আনি, তবুও আমাদের এখানে প্রাইস সবচেয়ে কম।”

তার ভাষ্য, নিয়মানুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় ১১৯ জেনেরিকের প্রায় ৪২০টি পদে ওষুধের দাম প্রতিবছর পর্যালোচনার কথা থাকলেও সরকার সেটা করেনি বলেই এত বছর পর হঠাৎ মনে হচ্ছে দাম অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে।

প্যারাসিটামলের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারকে তো একটা জায়গায় কল নিতে হবে। কোভিড শুরুর আগে প্যারাসিটামলের দাম ছিল ৩ দশমিক ৯৫ ডলার পার কেজি। এখন হয়ে গেছে ১০ ডলার। গ্লাস বোতলের দাম ৪০০ টাকা বেশি হয়ে গেছে। সো, হাউ ইন্ডাস্ট্রি উইল সাবর্ভাইভ?”

বিপণনের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশের মত খরচ হয় জানিয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ বলেন, “মার্কেটিংয়ের জন্য সারা পৃথিবীতে খরচ করতে হয়। আর যেকোনো ব্যবসায়ই প্রতিযোগিতা থাকলে প্রাইস কন্ট্রোল থাকে।“

ওষুধের প্রচারের জন্য গণমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় চিকিৎসকদের কাছে পর্যায়ক্রমে ওষুধের তথ্য পৌঁছানো হয় বলে জানান তিনি।

কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াকে তিনি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তুলে ধরেন।

তার মতে, বাংলাদেশে ওষুধের দাম এখনও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

বিকল্প ছিল?

ডলারের দামে তারতম্য এবং কাঁচামাল ও প্যাকেজিং উপকরণের দাম বাড়ায় ওষুধের মূল্য বাড়ানো যেতেই পারে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল হামিদ এটা অন্য কোনোভাবে ‘ম্যানেজ করা যেত কি না’ সেটি ভাবার কথা বলেন।

তার মতে, “আমার চালের দাম বাড়ল, আমার ডালের দাম বাড়ল, আমার ঘর ভাড়া বাড়ল, সাথে যদি ওষুধও বেড়ে যায়; আমাকে তো বাড়তি টাকা কেউ দিয়ে যাচ্ছে না।”

এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর ওষুধ ‘প্রমোশনের’ জন্য অনেক খরচের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “তাদেরকে তো বলা যেত যে তোমরা প্রোডাকশন কস্ট কমিয়ে দাও। প্রমোশন যদি কেউ না করে, ডাক্তাররা কি ওষুধ লিখবে না?

“এই যে ডাক্তারদের তারা ব্যাগ দেয়, সেমিনার-কনফারেন্সে যাওয়ার টাকা দেয়, এগুলো কমিয়ে দিক।“

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু মনে করেন এটির সমাধান ভিন্নভাবে করতে হবে।

সরকার নিজে ওষুধ কিনে তা জনগণের মধ্যে বিতরণ করলে সেটি দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন।

তার মতে, “সরকারের নিজের ড্রাগ প্রোভাইড করতে হবে, দুনিয়ার সব দেশে তাই করে। আপনি যদি একটা ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের ড্রাগ প্রোভাইড করেন তখন ওষুধের দাম বাড়লেও ক্ষতি নাই, কারণ আপনি তখন গভর্নমেন্ট নেগোশিয়েট করতে পারবে। যদি সরকার ওষুধ কিনত আজকে তাহলে সরকারের কাছে কি ৮০ টাকার বদলে ১৩৫ টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবে?”

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “ধরেন, ব্যাথা কমানোর ২২টি ওষুধ আছে। যখনই সরকার বলবে যে আমি ৪টি ওষুধ দিব, বাকি ১৮টার দাম এমনিতেই অর্ধেক হয়ে যাবে। কারণ এগুলো তো বিনা পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে…তাই অজস্র অপশনস আছে, কোন ওষুধের দাম কয় টাকা বাড়ল, এগুলোর চেয়ে ওগুলো আলোচনা করা ভালো।”

সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মানুষকে সস্তায় ওষুধ দেবে না কি কোম্পানিকে অনেক মুনাফার সুযোগ দিবে?- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “সরকারকে যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। শিল্পের বিকাশের নাম করে মানুষের কাছে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করা, এটা কোনো চয়েজ হতে পারে না।”

১৯৮২ এর ওষুধ নীতি বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার। কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি চলে যায় মালিকপক্ষের হাতে।

এরমধ্যে ওষুধের দাম আবার বাড়ানো নিয়ে খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে। ডলারের দামের উচ্চ মূল্যই ভোগাবে বলে মনে করছেন কোম্পানির কর্তা ব্যক্তিরা। তবে এ নিয়ে কোম্পানিগুলোর কোনো প্রস্তাব অধিদপ্তর পায়নি বলে জানিয়েছেন পরিচালক আইয়ুব হোসেন।