তিন প্যানেলের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জোট কোনো পদেই জয়ের মুখ দেখেনি।
Published : 23 Feb 2025, 12:29 PM
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নির্বাচনে সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও ফরিদ আহমেদ মজুমদার নেতৃত্বাধীন ‘হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদ’ সংখ্যাগরিষ্ঠ জয় পেয়েছে।
শনিবার ঢাকার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে দিনভর নির্বাচন শেষে রাতে ফল ঘোষণা করা হয়।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কমিটির ২৪টি পদের মধ্যে ১৯টিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পরিষদ, বাকি পাঁচটি পেয়েছে ঐক্য ফোরাম। কল্যাণ পরিষদ ঢাকা অঞ্চলের ২১টি পদের মধ্যে ১৭টিতে এবং চট্টগ্রামে ৩টি পদের মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে। আর এম এ রশিদ শাহ সম্রাটের ‘বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জোট’ জয়ের মুখই দেখেনি।
যদিও কেন্দ্রীয় কমিটিতে মোট পদ ২৭টি; এবার সিলেটের তিনটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেসবে ভোট হয়নি। তারাও ঐক্য কল্যাণ পরিষদে যোগ দিয়েছেন।
ভোটে কল্যাণ পরিষদের নির্বাচিতরা হলেন- প্যানেলপ্রধান সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, ফরিদ আহমেদ মজুমদার, শামীম সাঈদী, গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক, মোজাম্মেল হোসেন কামাল, এ এস এম ইব্রাহিম, মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন, আকবর হোসেন মঞ্জু, নূরুল আলম শাহীন, মুহাম্মদ আবু সালেহ রাজী (জাবেদ), মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, জাহিদ আলম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন (দিলু), নুর মোহাম্মদ, এম এন এইচ খাদেম দুলাল, কাউছার উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের শরীয়ত উল্লাহ সহীদ ও মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
ঐক্য ফোরামের নির্বাচিতরা হলেন- প্যানেলপ্রধান ফারুক আহমেদ সরদার, মুহাম্মদ জুনায়েদ গুলজার, কামরুল ইসলাম সাঈদ, মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৩০১ ভোট পেয়েছেন ঐক্য কল্যাণ পরিষদের প্যানেল প্রধান সৈয়দ গোলাম সরওয়ার। একই প্যানেলের ফরিদ আহমেদ মজুমদার ২৯৩ ভোট এবং শামীম সাঈদী ২৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ঐক্য ফোরামের প্যানেল প্রধান ফারুক আহমেদ সরদার নির্বাচিত হয়েছেন ২৭১ ভোট পেয়ে।
এদিকে ঢাকা আঞ্চলিক কমিটির ১৩টি পদের ১২টিতেই ঐক্য কল্যাণ পরিষদ এবং বাকি একজন ঐক্য ফোরাম থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদের নেতা ফরিদ আহমেদ মজুমদার রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সদস্যরা তো তিনটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, এখানে অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল। সাবেক সভাপতির (তসলিম) অনেক চক্রান্ত ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সদস্যরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, সহযোগিতা করেছে আলহামদুলিল্লাহ।
“আমরা মনে করি আমাদের দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেছে এবং ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য যতরকম সহযোগিতা দরকার, আমরা সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতা করব। এবং একটা সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা আমরা তৈরি করার চেষ্টা করব।”