বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত শেষ করেছে পৃথক কমিটি।
Published : 14 Jul 2024, 10:14 PM
‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষ করেছে কমিটি; চূড়ান্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনও।
একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের ছয় ছেলে মেয়ের এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়েও প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে পৃথক কমিটি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পৃথক এ দু্ই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন শিগগির কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহবুব আলম তালুকদার।
প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে জানতে চাইলে রোববার তিনি বলেন, এসব নথিপত্রের বিষয়। সুনির্দিষ্ট করে এখন বলা সম্ভব হবে না।
“প্রতিবেদন প্রস্তুত রয়েছে। এখন জমা দেওয়া হবে, অফিসিয়ালি রিসিভ করা হবে।”
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মার নামও পরিবর্তন করেছেন।
হারিছ আহমেদ তার নাম পাল্টে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর তোফায়েল আহমেদ জোসেফ নাম পাল্টে পরিচিতি নিয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল নামে।
অপরদিকে মোসলেম উদ্দিনের ছয় ছেলে-মেয়ে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান বানিয়ে নিয়েছেন। ‘ভুয়া’ পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মোসলেম উদ্দিনের তিন ছেলে-মেয়ে পাসপোর্ট এবং এক ছেলে ড্রাইভিং লাইসেন্সেও তাদের বাবার নাম মো. রফিকুল ইসলাম খান অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এ অবস্থায় মোসলেমের সন্তানদের এনআইডি, পাসপোর্ট ও অন্যান্য ডেটাবেজে তাদের পিতার নাম বদলে নেওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ তুলে ধরে মে সাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ইসিকে অনুরোধ করে।
এ বিষয়ে গত ১০ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আজিজ সাহেবের ভাই বোন বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের পরিবার ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি করেছে জেনেছি। ২০-২৫ বছর পর হঠাৎ জানা গেল। এখন দুটো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।”
এরপর ২৬ জুন নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম বলেন, তদন্তে গঠিত দুটি কমিটির প্রতিবেদন পেতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে। তারা ভোটার হওয়া থেকে এ পর্যন্ত সব কাগজপত্র জোগাড় করা, পরীক্ষা করা, যাচাই করা এবং বৈজ্ঞানিকভাবে যাতে কোনো খুঁত না থাকে।
কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “তদন্তে প্রমাণিত হবে। বিন্দুমাত্র ইনভল্ভমেন্ট থাকলে তার আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।”
আরও পড়ুন:
আজিজের ভাইদের 'এনআইডি জালিয়াতি': তদন্তে আরও দুই সপ্তাহ
বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেমের সন্তানদের বাবার নাম বদল, তদন্ত শুরু