রাজধানীর পল্লবীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, এলাকায় ‘সিনিয়র ও জুনিয়র’ গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
ছুরিকাঘাতে আহত ওই কিশোর ‘সিনিয়র’ গ্রুপের সদস্য। ওই গ্রুপের হাতে ‘জুনিয়র’ গ্রুপের কয়েক সদস্যকে চড় থাপ্পড় দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই একা পেয়ে ওই কিশোরকে ছুরি মারা হয়েছিল।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পল্লবীর ‘সি’ ব্লকে ছুরিকাঘাতে আহত ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৬) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় রমজান, আল আমিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
ওই ঘটনায় র্যাব-৪ বৃহস্পতিবার রাতে যশোর, ঝালকাঠি, আশুলিয়া ও রাজধানীর মিরপুর থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- মো. রমজান (২০), আল আমিন (২০), ইসমাইল হোসেন (১৮) ও দুই কিশোর।
শুক্রবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৪ অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, “যারা ওই কিশোরের ওপর হামলা করে, তারা ওই এলাকার চিহ্নিত জুনিয়র কিশোর গ্যাং রমজান গ্রুপের সদস্য।”
আহত ছেলেটি এসএসসির পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছিল, ষষ্ঠ পরীক্ষা আহত অবস্থায় দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে গেলেও দিতে পারেনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, “ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং মাদকের অপব্যবহারসহ গ্যাং কালচার প্রবণতা আছে। সেখানে সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ নামে দুটি পৃথক কিশোর গ্যাং রয়েছে যারা এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাইসহ মাদক সেবন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে লিপ্ত রয়েছে।”
ঘটনার কয়েকদিন আগে ‘জুনিয়র’ গ্রুপের কয়েকজন সদস্য মিরপুর-১২, ডি ব্লকে ধূমপান করছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের পাশ দিয়ে সিনিয়র গ্রুপের কয়েকজন সদস্য গেলে তারা (জুনিয়র গ্রুপ) তাদেরকে (সিনিয়র গ্রুপ) কোনো প্রকার সম্মান না দেখানোর কারণে জুনিয়র গ্রুপকে চড় থাপ্পড় মারে।
“এই ঘটনার রেশ ধরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীকে একা পেয়ে রমজানকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেছন থেকে তার পিঠে উপর্যুপরি চাকু দিয়ে আঘাত করে, আর গ্রেপ্তার অন্যরাও কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়।”